প্রতীকী ছবি।
যন্ত্রণায় গলা বুজে আসছে! মাইকের সামনে সড়গড়ও নন। চোখে জল নিয়ে নিজের কথা বলে গেলেন ওঁরা।
মুসলিম মেয়েদের সম অধিকারের দাবিতে একটি সম্মেলনে মহাবোধি সোসাইটিতে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের রানিনগরের রাহেলা, বাঁকুড়ার ওন্দার নুরআকসান, নদিয়ার কালীগঞ্জের শিউলি বিবিরা। তালাকের পরে খোরপোষ মেলেনি। স্বামীর বহুবিবাহের জেরে সন্তান নিয়ে দিশাহারা। সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিক তিন তালাক বন্ধ করলেও গ্রামের মুরুব্বি থেকে পুলিশ উদাসীন। সমাজকর্মী আফরোজা খাতুন, খাদিজা বানুদের মতে, ‘‘তিন তালাক আইনে স্রেফ বরকে জেলে পাঠালেই সমস্যা মিটবে না! তালাকপ্রাপ্ত মেয়েদের খোরপোষ বাধ্যতামূলক করতে হবে।’’
আফরোজাদের দাবি, স্বামীর অকালমৃত্যুতে মেয়েদের শ্বশুরের সম্পত্তির অধিকার, দত্তকের অধিকার থেকে শুরু করে আইনমাফিক বিবাহবিচ্ছেদ বাধ্যতামূলক করতে হবে। ‘তালাক’-এর পরে মিটমাট করে স্বামীর সঙ্গে ফের বসবাসের ‘অপরাধে’ জঙ্গিপুরের নাসিমা বিবিকে ‘নিকাহ হালালা’ অর্থাৎ কিছু দিনের জন্য অন্য এক জনকে বিয়ে করার ফতোয়া দিয়েছিলেন গ্রামের মুরুব্বিরা। নাসিমার অনমনীয় মনোভাবের সামনে তাঁরা পিছু হটেন। ‘‘আমরা টাকা জোগাড় করে এই মেয়েদের দিল্লিতে সরকারের কাছে নিয়ে যাব,’’— বলছেন আফরোজা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy