Advertisement
E-Paper

দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ তৃণমূলের জেলা সভাপতির পুত্রের, সঙ্গী বাংলার আরও দুই

ভারতীয় সেনার অফিসার চিরাগ ২০২৩ সালে এভারেস্ট জয় করেছিলেন। তাঁর আপাতত লক্ষ্য বিশ্বের সাত মহাদেশের সাতটি উচ্চতম শৃঙ্গ জয় করা। আবির পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী।

মাউন্ট অ্যাকাঙ্কাগুয়া শৃঙ্গ জয়ের পরে (বাঁ দিকে) জগবন্ধু মান্না, (মাঝখানে) চিরাগ চট্টোপাধ্যায় এবং আবির হুদাইত (ডান দিকে)।

মাউন্ট অ্যাকাঙ্কাগুয়া শৃঙ্গ জয়ের পরে (বাঁ দিকে) জগবন্ধু মান্না, (মাঝখানে) চিরাগ চট্টোপাধ্যায় এবং আবির হুদাইত (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৯
Share
Save

আর্জেন্তিনার মাউন্ট অ্যাকাঙ্কাগুয়া শৃঙ্গ জয় করলেন তিন বাঙালি— উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির চিরাগ চট্টোপাধ্যায়, হাওড়ার বাগনানের জগবন্ধু মান্না এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের আবির হুদাইত। গত ২২ জানুয়ারি দক্ষিণ আমেরিকার উচ্চতম শৃঙ্গ (৬৯৬২ মিটার) জয় করেন তাঁরা।

ভারতীয় সেনার অফিসার চিরাগ ২০২৩ সালে এভারেস্ট জয় করেছিলেন। তাঁর আপাতত লক্ষ্য বিশ্বের সাত মহাদেশের সাতটি উচ্চতম শৃঙ্গ জয় করা। আবির পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। নেপালের আমা দাবলাম, লোবুৎসে, হিমাচলের ভাগীরথী-২, সিবি-১৩, আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারোতে সফল আরোহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আবির জানিয়েছেন। ৬ জানুয়ারি আমরা কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে দিল্লি রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। পরের দিন আর্জেন্টিনা দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ করে ১০ জানুয়ারি দেশের শহর মেন্ডোজা পৌছেছিলেন।,

আবির বলেন, ‘‘মেন্ডোসায় এক রাত্রি বিশ্রাম নিয়ে, পরের দিন ১১ জানুয়ারি আপেনিটেন্টিসে গিয়েছিলাম বাসে চড়ে। তার পর ওখানে থেকে হাইকিং করে আমাদের ফার্স্ট ক্যাম্পিং পয়েন্ট কনফুলেন্সিয়া পৌঁছেছিলাম। পরদিন এর পর দু’দিন চলেছিল অ্যাক্লামাটাইজ়েশন (আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা) প্রক্রিয়া।’’ ১৩ তারিখ আমরা ১৮ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অভিযানের বেসক্যাম্পে প্লাজা দে মুলাসে পৌঁছনোর পরে আবহাওয়া খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ফলে ১৮ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় আবিরদের। এর পরে ক্যাম্প কানাডা, ক্যাম্প বার্লিন, প্লাজা ইনডিপেনডেন্সিয়া, দ্য কেভ হয়ে ২২ তারিখ দুপুরে শীর্ষে পৌঁছন তাঁরা।

অবির-চিরাগ-জগবন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের হাউরের অর্পিতা পাত্র। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে শৃঙ্গের ১০০ মিটার নীচ থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি। আদতে জোতঘনশ্যাম গ্রামের বাসিন্দা আবিরের বাবা আশিস তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। কলকাতায় পড়াশোনার জন্য এসে আবিরের পাহাড়-প্রেমের শুরু। তার পরে দার্জিলিঙের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট (এইচএমআই) থেকে পর্বতারোহণের কোর্স করে একের পর এক ছোট-বড় পাহাড়ে আরোহণ করেছেন তিনি।

TMC Mountaineering

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}