ঝড়ের তাণ্ডব এ বার উত্তরবঙ্গে। —নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আমপান ভয়ঙ্কর ভাবে দাপিয়ে গিয়েছে কয়েক দিন আগেই। আঘাতে তার ধারেকাছে না হলেও, এ বার তীব্র ঝঞ্ঝার সাক্ষী হল উত্তরবঙ্গ। সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। জলপাইগুড়ির মালবাজারে প্রচুর গাছপালাও উপড়ে গিয়েছে। কাঁচাবাড়ির চাল উড়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বহু জায়গায়। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। বিকাল সওয়া ৪টে নাগাদ আচমকাই তীব্র বেগে ঝড় বইতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। মাত্র দেড় মিনিটের মতো ঝড় স্থায়ী হয়েছিল, কিন্তু তাতেই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ কত ছিল তা এখনও জানা যায়নি।
এ দিনের ঝড়ে জলপাইগুড়ির মালবাজার এবং সংলগ্ন পালপাড়াই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তার উপর বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে সেখানে। ভয়ে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না কেউ। দোকানপাটও সব বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাত দিন এক করে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের কুর্নিশ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: করোনার উপসর্গ নিয়ে কনস্টেবলের মৃত্যু, পুলিশের ভাঙচুর গরফা থানায়
এর আগে, গতকাল সারাদিন ধরে কোচবিহারেও ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আজ দুপুর পর্যন্ত দুর্যোগ ছিল সেখানে। তবে দুপুরের পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে।
তবে এখনই পুরোপুরি দুর্যোগ কেটে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাদের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিতে ভাসবে উত্তরের জেলাগুলি। দক্ষিণ-পশ্চিমী বায়ুর প্রভাবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দুই দিনাজপুরে বৃষ্টি চলবে। হাওয়ার গতি থাকবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটারের আশেপাশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy