Advertisement
E-Paper

প্রাথমিক তদন্তের সময় বেড়ে ১ মাস, খুশি সিবিআই

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নারদ ভিডিও সংগ্রহ ও নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের বাড়ি থেকে কাঁচা ভিডিও নিয়ে তা খতিয়ে দেখতেই অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। ফলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করার নির্দেশ পেয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল সিবিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭ ০৩:৫২

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নারদ ভিডিও সংগ্রহ ও নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের বাড়ি থেকে কাঁচা ভিডিও নিয়ে তা খতিয়ে দেখতেই অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। ফলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করার নির্দেশ পেয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল সিবিআই। এর পরে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক তদন্তের সময়সীমা বাড়িয়ে ১ মাস করে দেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থাটির কর্তারা।

এক সিবিআই কর্তার কথায়, ‘‘প্রাথমিক তদন্ত (প্রিলিমিনারি ইনকোয়ারি) চলার সময়ে গ্রেফতার করার কোনও আইনি সংস্থান নেই।’’ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে— শুধু ১ মাস নয়, প্রাথমিক তদন্তে আরও বেশি সময় লাগলে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করতে
পারবে সিবিআই।


আরও পড়ুন: দিনেরবেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে বাইক-স্কুটার চালাতে হবে এপ্রিল থেকে!

তদন্তকারীরা বলছেন, কোনও মামলার প্রাথমিক তদন্তে বড় জোর দু’-এক সপ্তাহ সময় লাগে। নারদ কাণ্ডেও সমস্ত নথি দেখে দু’সপ্তাহের মধ্যে এফআইআর দায়ের করতে পারে সিবিআই। কারণ, সর্বোচ্চ আদালত ১ মাস সময় দেওয়ার অর্থ এই নয় যে তত দিন ধরেই প্রাথমিক তদন্ত চালাতে হবে।

প্রাথমিক তদন্তে সিবিআইকে বেশি সময় দেওয়ার পক্ষে এ দিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরাও। তাঁদের যুক্তি ছিল— ৭২ ঘণ্টায় প্রাথমিক তদন্ত শেষ করতে গেলে পক্ষপাত ঘটতে পারে। তার চেয়ে সিবিআই সময় নিয়ে তদন্ত করলে ‘সত্য উদ্ঘাটন হবে’ এবং তাঁরা নির্দোষ প্রমাণ হবেন। যদিও বিরোধীরা বলছেন, আসলে কেন্দ্রের সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’-র একটা চেষ্টা চালানোর জন্যই সময়
চেয়েছে অভিযুক্তরা।

সিবিআই কর্তাদের মতে, প্রাথমিক তদন্তে ঠিক কত সময় লাগবে তা আগে বলা যায় না। ইতিমধ্যে আসা নথি পরীক্ষা করতে সময় লাগছে। সিবিআই সূত্রের খবর— নারদ নিউজের প্রচারিত ভিডিও-য় যাঁদের দেখানো হয়েছে, তার বাইরেও আরও অনেকে এই ঘুষ কাণ্ডে জড়িত। এঁদের নাম-ঠিকানা জোগাড় করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তিদের ডেকে প্রাথমিক জেরা করা দরকার বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, ‘‘মামলা শুরুর আগেই এঁদের জেরা করা দরকার।’’

সিবিআইয়ের কথায়, প্রতিটি ফুটেজে পাওয়া গলার আওয়াজ এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কাঁচা ফুটেজে একাধিক পুরুষ ও মহিলার কথা শোনা গিয়েছে বলেও তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। অথচ ক্যামেরায় তাঁদের ছবি ওঠেনি। সেই কথোপকথনে একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। এমনকী, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও রয়েছে সেই অডিও-তে।

তদন্তকারী অফিসারদের মতে, তিন দিনের মধ্যে ওই সব ব্যক্তিকে শনাক্ত করে মামলা দায়ের করতে গেলে বহু ক্ষেত্রে ফাঁক থেকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এমনকী মামলার কোনও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকতো। সময় বাড়ায় তাই হাঁফ ছেড়ে
বেঁচেছে সিবিআই।

Primary Investigation CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy