Advertisement
E-Paper

নীলবাড়ির সাফল্যের পর লালবাড়ির লড়াইয়ে প্রশ্নহীন থাকতে ‘কঠোর’ পথে হাঁটতে চায় তৃণমূল

বিধানসভা ভোটে জয়ের পরে পুরভোটকেও ‘প্রশ্নহীন’ রাখতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। এ জন্য প্রার্থী বাছাই থেকে ভোট প্রক্রিয়া সর্বস্তরে কঠোর হবে দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২১ ০৬:৫৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিধানসভা ভোটে বিরাট জয়ের পরে এ বার পুরভোটকেও ‘প্রশ্নহীন’ রাখতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। এ জন্য প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে ভোট প্রক্রিয়া সর্বস্তরে প্রয়োজন মতো কঠোর হবে দল।

পাশাপাশি, তৃণমূলে ফিরতে চাওয়াদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে চাইছে তৃণমূল। কৌশলগত ভাবে এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো চাইছেন না তাঁরা। কয়েকটি ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে আপত্তি ধীরে ধীরে বিক্ষোভের চেহারা নিচ্ছে দেখেই এই ‘ধীরে চলো’ অবস্থান নেওয়া হচ্ছে। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরে দলের অন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভা ভোটে মানুষ যে আস্থা রেখেছেন, তাতে যে কোনও দৃঢ় পদক্ষেপের এটাই উপযুক্ত সময়।

গত বছরেই পুরভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূলের পরামর্শদাতা ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। করোনা পরিস্থিতি মিটলে রাজ্যব্যাপী পুরভোটের আগে তাদের সেই সমীক্ষা হবে দলের প্রস্তুতির অন্যতম ভিত্তি। সে ক্ষেত্রে সব পুরসভাতেই প্রার্থী বাছাইয়ে আমূল বদল আনতে পারে তৃণমূল।

রাজ্যে সরকারে আসার আগেই বহু পুরসভা ও পঞ্চায়েতের তিন স্তরে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাম-বিরোধী আন্দোলনই একাধিক জেলায় তৃণমূলের জন্য সেই পথ তৈরি করে দিয়েছিল। সে সময় সাংগঠনিক শক্তিও খুব বেশি ছিল না। তবে ক্ষমতায় আসার পরে পুর ও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নানা অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার ঘটনা গোটা দেশেই তৃণমূল-বিরোধী প্রচারে প্রধান অস্ত্র হয়েছিল বিরোধীদের। শুধু তা-ই নয়, ওই রকম নির্বাচনে যে দলের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে, তা মেনে নিয়েই এ বার নতুন করে এগোতে চাইছে শাসক শিবির।

TMC Municipality Election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy