Advertisement
০১ এপ্রিল ২০২৩
By Election

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, গুলি-বোমায় রণক্ষেত্র ভাটপাড়া

বেশ কিছু দিন ধরেই মদন মিত্র এবং অর্জুন সিংহের মধ্যে বাগযুদ্ধ চলছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দুই দলের কর্মীরা সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার মধ্যেই শনিবার রাতে কাঁকিনাড়ার কাছে আর্যসমাজ মোড়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি গাড়ি।— নিজস্ব চিত্র।

জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি গাড়ি।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ২৩:২২
Share: Save:

ভোট ঘোষণার পর থেকেই উত্তেজনার পরিবেশ ঘনিয়েছিল। ভোটের আগের রাতে, শনিবার ভাটপাড়ায় বোমা-গুলি চলল বলে অভিযোগ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দু’টি গাড়ি। সেই গাড়ির মালিকানা কার, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে বোমা-গুলি চলেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মানতে চায়নি তারা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ভাটপাড়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আর্যসমাজ মোড় এলাকা দিয়ে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহের গাড়ি যাচ্ছিল। সন্ধে থেকেই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা, গোলমাল চলছিল বলে অভিযোগ। লোকসভা ভোটের আগেও আর্যসমাজ মোড় এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধেছিল। এ দিন অর্জুনের গাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূলের লোকজনই গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ পদ্মশিবিরের।

কিন্তু গাড়ি পুড়ল কী ভাবে?

অর্জুন বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকজন এক বৃদ্ধ বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার লোকজন দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।’’ অর্জুনের দাবি, একটি গাড়িতে ‘কামারহাটি পুরসভা’ এবং অন্য গাড়িতে ‘নির্বাচন কমিশন’ লেখা স্টিকার সাঁটা ছিল। তৃণমূলের লোকজন তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করেছিল বলে দাবি অর্জুনের। তিনি বলেন, ‘‘প্রচুর বহিরাগত লোকজন এলাকায় ঢুকিয়েছে তৃণমূল। তারাই সন্ত্রাস করেছে।’’

Advertisement

তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সন্ধের দিকে তাদের দলের এক কর্মীকে মারধর করে বিজেপির লোকজন। তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিজেপির বহিরাগত লোকজন এসে হামলা চালায়। গুলি ছোড়ে। বোমাও মারে। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাটপাড়ার পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার বলেন, ‘‘মানুষ যাতে আতঙ্কে ভোট দিতে না যান, সে জন্যই বিজেপির লোকজন এই কাণ্ড করল।’’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমেছে কেন্দ্রীয়বাহিনী।—নিজস্ব চিত্র।

ভাটপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র বলেন, ‘‘আগেই বলেছিলাম, অর্জুন পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি পাকাবেন। ওদের পাশ থেকে মানুষ সরে গিয়েছে। ভয় দেখানো ছাড়া রাস্তা নেই।’’ মদনের বক্তব্য, ‘‘অর্জুন তো প্রার্থী নন। ভোটের আগের রাতে তিনি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবেন কেন, তা কমিশন খতিয়ে দেখুক।’’
ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলাম বলেন, ‘‘যে দু’টি গাড়ি পুড়েছে, তার মধ্যে কমিশনের গাড়ি নেই। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’’ ঘটনার পরে ভাটপাড়া ছাড়াও আশেপাশের থানা থেকে প্রচুর পুলিশ কর্মী এলাকায় গিয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি-১ কে কান্নাও এলাকায় যান। কেন্দ্রীয় বাহিনীও টহল শুরু করেছে। পরে রাতে তৃণমূল সমর্থকেরা জগদ্দল থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মদন মিত্রও। রাত পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।

আরও পড়ুন: নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আইনি নোটিস অভিষেকের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.