ভোটের আগে বাবরি ধ্বংসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বদল আনল তৃণমূল। দলের ‘সংখ্যালঘু সেল’-এর বদলে এ বার এই কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হল ছাত্র ও যুব সংগঠনকে। আয়োজনের দায়িত্ব যুব তৃণমূলের হলেও দুই শাখা সংগঠনের তরুণরাই এ বার দলের সংহতি দিবসের কর্মসূচির আয়োজন করছে। ৬ ডিসেম্বরের সভার জন্য গান্ধীমূর্তির পাশেই জমায়েত ও সভার আয়োজন করা হচ্ছে।
মাস কয়েকের মধ্যে নির্বাচন আর সামনে বিজেপির হিন্দুত্বের রাজনীতির কথা মাথায় রেখেই এই বদল কি না, উঠছে প্রশ্ন। বরাবর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদ জানিয়ে এই দিনটি পালন করছে তৃণমূলের ‘সংখ্যালঘু সেল’। এ বার সেই দায়িত্ব ছাত্র-যুব সংগঠনকে দেওয়ার কারণ কি? তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, ‘‘এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। দল মনে করেছে, ছাত্র-যুব সংগঠনের আয়োজনে সুবিধা হবে। তাই তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে।’’
কর্মসূচির হাতবদল নিয়ে দু’রকম ব্যাখ্যা আছে দলের অন্দরে। একাংশের বক্তব্য, এটা যে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের বিষয় নয়, সেই বার্তাই দিতে চান নেতৃত্ব। ভোটের আগে সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব গোটা দলকেই রাখতে চাইছেন। অন্য একাংশের মতে, সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে না পেরেই যুব সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু দিন আগে দলীয় বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে সংখ্যালঘু সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও এই মুহূর্তে সাংগঠনিক অবস্থা সন্তোষজনক না হওয়ায় কর্মসূচির হাতবদল হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর যুব সংগঠনের সভাপতি সায়নী ঘোষ প্রস্তুতি বৈঠকও করেছেন।
এ বারের সভায় বড় জমায়েত করতে চাইছে তৃণমূল। ছাত্র-যুব সংগঠনকে দিয়ে দলের সেই লক্ষ্য পূরণ করা গেলেও সংখ্যালঘু সেল’-এর এই অবস্থা ভাবাচ্ছে তৃণমূলের একাংশকে। তাঁরা অবশ্য বলছেন, তৃণমূল তৈরির আগে যুব কংগ্রেসের তরফেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন এই কর্মসূচিরদায়িত্বে ছিলেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)