পশ্চিমবঙ্গ আসলে ‘ভুগছে’ তাঁর জন্য। নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে আঙুল তুলল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কেন ‘ভুগছে’, সেই কারণও জানাল তারা। আর এ ভাবেই প্রধানমন্ত্রী পোস্টের জবাব দিল তৃণমূল।
শনিবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা এবং জনসভা রয়েছে। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক্স অ্যাকাউন্টে দু’টি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একটিতে সভার কথা জানিয়েছেন। দ্বিতীয় পোস্ট পুরোদস্তুর রাজনৈতিক বার্তা সম্বলিত। তা নিয়েই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছে, ‘আপনি ঠিক বলছেন মন কী বাত প্রধানমন্ত্রী। বাংলা ভুগছে। বাংলা আপনার জন্য ভুগছে।’ তার পরেই সেই কারণের কথা উল্লেখ করেছে তৃণমূল।
রাজ্যের শাসকদল এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছে, ‘কারণ, আমাদের প্রাপ্য ২ কোটি টাকা আটকে রেখেছে আপনার সরকার। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি বাবদ আদায়ের পরেও।’ এখানেই থামেনি তৃণমূল। তারা ‘ভোগান্তি’র কারণ হিসাবে লিখেছে, ‘কারণ, আপনি বাংলার সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিক এবং নাগরিক ব্যক্তিত্বদের অপমান করেন।’ তৃণমূল আরও লেখে, ‘আমাদের মানুষজনকে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। আটক করে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কারণ তারা মাতৃভাষায় কথা বলেন।’ তৃণমূলের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ‘অর্থ, ক্ষমতার অপব্যবহার’ করেন। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির হাতে অস্ত্র তুলে দেন। বাংলার ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য ‘গদি মিডিয়াকে’ নিয়োগ করেন। শেষে তারা লেখে, ‘তবে বাংলা সর্বদা অতিথিদের অভ্যর্থনা জানায়। গত বছর গোটা দেশে বিদেশি পর্যটকদের আগমনের ক্ষেত্রে আমরা দ্বিতীয়। আমরা আপনাকেও স্বাগত জানাব। কিন্তু ভুল করবেন না, যে ২০২৬ সালেও বাংলা আপনাকে প্রত্যাখ্যান করবে, যেমন আগের ভোটগুলিতে করেছে।’
মোদী শুক্রবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় পোস্টে লেখেন, ‘দুপুরে আমি রানাঘাটে বিজেপির জনসভায় ভাষণ দেব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের বহু জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তবে একইসঙ্গে রাজ্যের সর্বক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের কারণে তাঁরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তৃণমূলের লুটপাট ও ভীতিপ্রদর্শন সব সীমা অতিক্রম করেছে। সেই কারণেই আজ বিজেপিই মানুষের একমাত্র আশা-ভরসা।’