Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

শাহ-দর্শনার্থীরা রাতারাতি কালীঘাটে

এ বার পুরুলিয়ার লাগদা গ্রামে যে কয়েক জনের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন শাহ, তাঁদের মধ্যে দু’টি পরিবারের চার জনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতায় ‘এনে’ জোড়াফুলের পতাকা তুলে দেওয়া হল। ঘোষণা করা হল, ওই পরিবারদু’টি শাহের হঠাৎ আগমনে ত্রস্ত হয়ে তৃণমূলে আশ্রয় নিল!

যোগদান: মাত্র এক দিন আগেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ পুরুলিয়ার লাগদা গ্রামে যে কয়েক জনের বাড়ি গিয়েছিলেন, শুক্রবার তাঁদের মধ্যে দু’টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিল। কালীঘাটে। ছবি: সুমন বল্লভ।

যোগদান: মাত্র এক দিন আগেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ পুরুলিয়ার লাগদা গ্রামে যে কয়েক জনের বাড়ি গিয়েছিলেন, শুক্রবার তাঁদের মধ্যে দু’টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিল। কালীঘাটে। ছবি: সুমন বল্লভ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০৬:১০
Share: Save:

নকশালবাড়ির পুনরাবৃত্তি হল পুরুলিয়াতেও। তবে এ বারের ঘটনাপ্রবাহ আরও নাটকীয়!

গত বছর বঙ্গ সফরে এসে নকশালবাড়িতে আদিবাসী রাজু মাহালির বাড়িতে ভাত, ডাল খেয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পরের দিনই মাহালি ও তাঁর স্ত্রীকে তৃণমূলের দফতরে নিয়ে গিয়ে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল। আর এ বার পুরুলিয়ার লাগদা গ্রামে যে কয়েক জনের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন শাহ, তাঁদের মধ্যে দু’টি পরিবারের চার জনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতায় ‘এনে’ জোড়াফুলের পতাকা তুলে দেওয়া হল। ঘোষণা করা হল, ওই পরিবারদু’টি শাহের হঠাৎ আগমনে ত্রস্ত হয়ে তৃণমূলে আশ্রয় নিল!

তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলে আনুষ্ঠানিক যোগদানের ছাপ যেন অমিল! কারণ, লাগদা গ্রামের প্রৌঢ়া শিশুবালা রাজোয়াড় ও তাঁর ছেলে স়ঞ্জয় এবং অষ্টমী রাজোয়াড় ও তাঁর ছেলে ফুচুর হাতে শুক্রবার তৃণমূলের পতাকা ধরানো হয়েছে কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের নীচে রাস্তায় শামিয়ানা বেঁধে। পতাকা ধরিয়েছেন মদন মিত্র। যিনি প্রাক্তন মন্ত্রী এবং চেনা মুখ বটে। তবে এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও পদাধিকারী নন।

অষ্টমী, ফুচুদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহ দেখা করে যাওয়ার পরে সন্ধ্যায় তাঁদের কয়েক জন ‘অচেনা’ লোক এসে ডেকে নিয়ে কলকাতায় চলে যায় বলে ওই পরিবারের দাবি। কালীঘাটে তাঁদের পাশে নিয়ে এ দিন মদনের দাবি, ‘‘চম্বলের ডাকাতের মতো শাহ ওদের বাড়িতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে হুমকি দিয়েছিলেন। ওঁরা ভয়ে কালীঘাটে বাংলার মায়ের পায়ে আশ্রয় নিতে এসেছেন।’’ যদিও তাঁর পাশে বসেই দিনমজুর ফুচু বলেন, ‘‘আমাদের শাহ কিছু বলেননি। শুধু আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন।’’ মদন আবার ফুচুর কানের কাছে বলতে থাকেন, ‘‘ভয়ে দিদির কাছে আশ্রয় নিতে এসেছ, বল! বল, বিজেপিতে যোগ দিতে বলেছিল শাহ।’’ ফুচু তখন থতমত।

এই কাণ্ডে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘শাহ তো ওদের কাউকে দলে যোগ দিতেও বলেননি, চলেও যেতে বলেননি। তা হলে তৃণমূল এত ভয় পেল কেন?’’ শাহ দেখা করলেই সেই পরিবারকে এনে কেন তৃণমূলে যোগ দেওয়াতে হচ্ছে? মদনের জবাব, ‘‘শাহ যেখানেই যান, সেখানে জমি ধসে যায়! পরের বার উনি আর ঢুকতে পারবেন না এখানে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE