E-Paper

সুকান্তের ‘তোলাবাজি’ তোপ, পাল্টা তৃণমূলের

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন, দাবি করা হচ্ছে, তাতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে খড়দহের বিলকান্দা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রীনা দাসের স্বামী পাপন দাসকে। সেখানে হাজির পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান প্রবীর দাসও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৭
সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্ত মজুমদার। — ফাইল চিত্র।

সমাজমাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা একটি অডিয়ো ক্লিপ ও ছবি ঘিরে ফের তোলাবাজির অভিযোগে নাম জড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের। তাতে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ বিধানসভার এক পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে বড় অঙ্কের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। এই পোস্টের সূত্রেই ফের এক বার ‘তোলাবাজি’ ও ‘কাটমানি’র অভিযোগে শাসক তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সুকান্ত। অন্য দিকে, অডিয়োর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন, দাবি করা হচ্ছে, তাতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে খড়দহের বিলকান্দা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রীনা দাসের স্বামী পাপন দাসকে। সেখানে হাজির পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান প্রবীর দাসও। অডিয়োয় উপস্থিত ব্যক্তিদের যে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে, তাতে স্থানীয় কারখানা থেকে মাসিক ‘তোলা’ আদায়ের কথা রয়েছে। সেই সূত্রে উপ-প্রধানের নামও উঠে এসেছে। আনন্দবাজার পত্রিকা ওই অডিয়ো ক্লিপ বা ছবির সত্যতা যাচাই করেনি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, তোলাবাজি আর সিন্ডিকেটের দাপটে একের পর এক বৃহৎ শিল্প সংস্থা ব্যবসা গুটিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন একই অবস্থায় পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। খড়দহ শিল্পাঞ্চলে প্রতি মাসে দু’হাজার টাকা ‘তোলা’ ধার্য করার কথা রয়েছে। তবে অডিয়োর সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব। তিনি বলেন, “ওই রকম অডিয়ো এখন এআই দিয়েও বানানো যায়। তা মানি না। প্রমাণ চাই। আমার মুখেও দেখানো যেতে পারে যে, আমি টাকা চাইছি। আর যাঁরা এ সব বলছেন, তাঁদের লোকেরাই হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে পালিয়েছে।”

পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান প্রবীর দাবি করেছেন, “ছবিটি অনেক পুরানো। অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” এই সূত্রেই তিনি আরও বলেছেন যে, “ছবিতে আমাকে কোথাও টাকা নিতে দেখা যায়নি। দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে বিষয়। কোনও কারখানা মালিক যদি বলেন আমি এক টাকা নিয়েছি, তা হলে দল যা শাস্তি দেবে মাথা পেতে নেব।”

প্রধানের স্বামী পাপন জানান, ছবিটি বছর চারেকের পুরনো। তখন তাঁর স্ত্রী প্রধান ছিলেন না। ব্যবসায়িক কারণে এক ব্যবসায়ীর কাছে তিনি বকেয়া টাকা আনতে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “কোন তারিখে কত টাকা নিয়েছি, তার সমস্ত নথিপত্র আমার কাছে আছে। অযথা টাকা নেওয়ার মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।'’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Sukanta Majumdar BJP TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy