Advertisement
১১ মে ২০২৪

ধৃতদের ছাড়াতে থানা ঘেরাও করল তৃণমূল

বুধবার বেচারাম মান্নার সভা ছিল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ হলে। সেই সময়ে যুব তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌস্তভ তলাপাত্রকে মাটিতে ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযুক্তদের। নিজস্ব চিত্র

থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযুক্তদের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৫
Share: Save:

বুধবার বেচারাম মান্নার সভা ছিল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ হলে। সেই সময়ে যুব তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌস্তভ তলাপাত্রকে মাটিতে ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ভাইরাল হওয়া একটি ভি়ডিয়োয় কৃষ্ণ দাসকে মারতেও দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। আনন্দবাজার সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যেতে এ দিন বিস্তর বেগ পেতে হয় পুলিশকে। অভিযোগ, ভোর থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত কৃষ্ণ দাসের অনুগামীরা কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে রাখেন। জলপাইগুড়ির সাংসদ নিজে থানায় ৬ ঘণ্টা বসে থাকেন।

তার পরেও দুপুর দুটোয় কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে ধৃতদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। তবে প্রিজন ভ্যানে না তুলে ছোট একটি গাড়িতে ধৃতদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত থেকে দু’জনেই জামিন পান। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “আইন মেনেই পদক্ষেপ হয়েছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে মজনু আলি এবং জাহাঙ্গির আলমই মারধর করছে। তাই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ভোরবেলায় কৃষ্ণবাবু থানায় এসে দু’জনকে জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। থানার সামনে তখন কয়েকশো তৃণমূল কর্মী। ভিড়ের চাপে থানার স্বাভাবিক কাজকর্ম থমকে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকায় জেলার অন্যান্য থানা থেকে অফিসারদের তো বটেই, কমব্যাট ফোর্স, র‌্যাফ এনেও মোতায়েন করা হয় কোতোয়ালি থানার সামনে। তার পরেই সেখানে চলে আসেন সাংসদ বিজয় বর্মণ।

তৃণমূল কর্মীরা দাবি করেন, সাংসদের নির্দেশে থানা থেকেই ধৃত দু’জনকে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু ছ’ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও অভিযুক্তদের বার করে আনতে পারেননি তিনি। পরে বিজয় বলেন, ‘‘বিনা দোষে পুলিশ দু’জনকে ধরেছে। তাই আলোচনা করতে এসেছিলাম। তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নিক।” জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা

থানায় এসেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Station TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE