Advertisement
E-Paper

TMC: ‘অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত’! দুই পুরপ্রতিনিধি খুনের ঘটনায় বিরোধী হাত দেখছে তৃণমূল

পানিহাটির ঘটনার নেপথ্যে এলাকার জমি- ব্যবসা থেকে শুরু করে পুরবোর্ডে ক্ষমতার ভারসাম্যের অঙ্ক পর্যন্ত বিবিধ অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তবে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত মনে করছেন, পুরপ্রতিনিধি অনুপম দত্তের খুনের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ০৮:৫১
অনুপম দত্ত এবং তপন কান্দু।

অনুপম দত্ত এবং তপন কান্দু। ফাইল চিত্র।

রাজ্যের দুই জেলায় একই দিনে দুই পুরপ্রতিনিধি খুনের ঘটনায় ‘বড় অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত’ দেখছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। সরাসরি না বললেও তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের ইঙ্গিত উভয় ক্ষেত্রেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপির দিকে। সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করার জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, পানিহাটির তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি খুনের পিছনে রয়েছে শাসক শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর ঝালদায় কংগ্রেস সদস্য খুনের পিছনে তৃণমূলের ত্রিশঙ্কু পুরবোর্ড দখলের চেষ্টা। সোমবার বিধানসভায় ওই দুই খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়ে কিছু ক্ষণের জন্য ওয়াকআউটও করে বিজেপি।

পানিহাটির ঘটনার নেপথ্যে এলাকার জমি- ব্যবসা থেকে শুরু করে পুরবোর্ডে ক্ষমতার ভারসাম্যের অঙ্ক পর্যন্ত বিবিধ অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তবে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত মনে করছেন, পুরপ্রতিনিধি অনুপম দত্তের খুনের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘‘বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ভাড়াটে গুন্ডা লাগিয়ে এই খুন করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তদন্তে সবই প্রকাশ পাবে। এবং প্রকৃত দোষী যেই হোক তার উপযুক্ত সাজা দিতে প্রশাসন পিছপা হবে না।’’

এই সূত্রেই ওই রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি তথা সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘ওই অঞ্চলে বিজেপির কোনও শক্তিই নেই। ভাল-খারাপ কোনও লোকই আমাদের সঙ্গে নেই। বরং এটা তদন্ত করা হোক যে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে কী চলছে। তা হলেই সব সত্যি বেরিয়ে যাবে।’’

পুরুলিয়ার ঝালদায় ত্রিশঙ্কু পুরবোর্ড দখলের জন্য কংগ্রেসের যাঁদের সঙ্গে শাসক শিবির যোগাযোগ রাখছিল, নিহত তপন কান্দু তাঁদের এক জন বলে তৃণমূলের দাবি। পাল্টা দাবি করে কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলে যাওয়ার জন্য তপনের উপর পুলিশ দিয়ে চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এ দিন ঝালদায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘ঝালদা পুরসভা দখলের উদ্দেশ্যে পুলিশের সহযোগিতায় এই খুন করা হয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে এখন খুন করতে নেমে পড়েছে। এটা ভয়ঙ্কর।’’ ঝালদার তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাত অবশ্য বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে ঠিকই, তবে বোর্ড পেতে ভোট বা তার পরেও গা-জোয়ারির চেষ্টা তৃণমূল করেনি। এক জন নির্দল কাউন্সিলর আগেই সমর্থন করায় বোর্ড নিয়ে তৃণমূলের সংশয় ছিল না। পুলিশকে বলেছি নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীকে ধরতে হবে।’’ বিজেপি সাংসদ অর্জুন বলেন, ‘‘মাওবাদীদের নাম করে ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে ভয় দেখাতে চাইছে তৃণমূল। এটা তারই পরিণতি।

রাজ্য তৃণমূলের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘ওই কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধিকে খুনের পিছনে যে তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়ার রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘এই কাজ তারাই করেছে চায় যারা রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি, আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্ট করতে উদ্যত।’’

TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy