Advertisement
E-Paper

হাসপাতাল থেকে ছুটি, বাপি জেলেই

জেলে নাকি তিনি খুব ঘামছিলেন। তাই আদালত জেল হাজতে পাঠানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংশোধনাগার থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানের কয়েদি ওয়ার্ডে না রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আইটিইউ-তে তাঁকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, হাসপাতালে ঠাঁই বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না যুব তৃণমূল নেতা পীযূষ চক্রবর্তী ওরফে ক্যাসেট বাপির! বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ফের তাঁকে ফিরতে হল সেই জেলেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৫ ০২:০৭

জেলে নাকি তিনি খুব ঘামছিলেন। তাই আদালত জেল হাজতে পাঠানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংশোধনাগার থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানের কয়েদি ওয়ার্ডে না রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আইটিইউ-তে তাঁকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, হাসপাতালে ঠাঁই বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না যুব তৃণমূল নেতা পীযূষ চক্রবর্তী ওরফে ক্যাসেট বাপির! বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ফের তাঁকে ফিরতে হল সেই জেলেই।

সোমবার রাতে বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ডে এক বধূর শ্লীলতাহানি এবং পুলিশ পেটানোর অভিযোগে মঙ্গলবার জামিন অযোগ্য ধারায় বাঁকুড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী বাপিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। কিন্তু, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলে পা দেওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খুব ঘাম হচ্ছে বলে জেল থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয় বাপিকে। হাসপাতালে তাঁকে ইন্টেন্সিভ থেরাপি ইউনিটে রাখা হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বাপির উপসর্গ ছিল হাইপার টেনশন ও উচ্চ রক্তচাপ। যদিও তাঁকে আদৌ আইটিইউ-তে রাখার মতো পরিস্থিতি ছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। বুধবারই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বাপির শারীরিক অবস্থার প্রকৃত তথ্য প্রকাশের দাবি তুলেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সহ সভাপতি সুভাষ সরকার।

বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার বাপিকে ছুটি দিয়ে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিন বিকেলেই তাঁকে বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যা শুনে সুভাষবাবু বলেন, “আমরা বাপির শারীরিক অবস্থার তথ্য প্রকাশের দাবি তুলতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি ওকে আইটিইউ থেকে বের করে জেনারেল ওয়ার্ডে দেওয়া হয়। শেষ অবধি অবশ্য ওকে জেলেই যেতে হল!’’ যদিও বাঁকুড়া মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বাপির শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। তাই তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। বাপির স্ত্রী, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিঙ্কি চক্রবর্তী বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। তার উপরে এ ভাবে মিথ্যা ঘটনায় ওকে ফাঁসানোয় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। রক্তচাপ ঘনঘন বাড়ছে কমছে। হাসপাতাল ছুটি দিয়ে দিলেও আমার চিন্তা কমছে না।’’

Bapi Bankura Trinamool Hospital BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy