নিহত অনিল মাহাতোর স্ত্রী সুলেখাদেবীর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তখন গাড়িতে উঠছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেই সময় তাঁর সামনেই খাতড়ার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল সরকারকে ‘অনিলবাবুর খুনি’ বলে অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করেন এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী।
অভিষেকের সামনে পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে দেখে পুলিশ তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করে। কোনও রকমে শ্যামলবাবুকে উদ্ধার করে ফেরত পাঠায় পুলিশ। ভিড় কাটিয়ে অভিষেককেও গাড়িতে তুলে এলাকা থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিষেক ফিরে যাওয়ার আধঘণ্টা পরে তৃণমূলের সর্ভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় অনিলবাবুর বাড়িতে আসেন। সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন তিনিও। ফেরার পথে জান়়ডাঙা মোড়ে তৃণমূল কর্মীরা মুকুলবাবুর কাছে দোষীদের ধরার দাবিতে ক্ষোভ জানান। শ্যামলবাবুকে মারধর বা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে অবশ্য অভিষেক বা মুকুলবাবুর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাঁকুড়ার জেলা সভাধিপতি, তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘শ্যামলবাবুকে মারধর তো করা হয়নি। ভিড়ের জন্য দলের কর্মীরা তাঁকে বাইরে আটকে দিয়েছিলেন।’’ আর শ্যামলবাবু বলেছেন, ‘‘দলকে সব জানাব।’’
অভিষেকের বাঁকুড়া আসার আগে এ দিনই পুলিশের সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। অনিলবাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত, দলের ব্লক সভাপতি জগবন্ধু মাহাতোকে থানায় ডেকে এ দিন ঘণ্টাদেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
জগবন্ধুবাবু বলেন, ‘‘পুলিশকে জানিয়েছি আমি তদন্তে যাবতীয় সাহায্য করব।’’ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূলেরই এক অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য ও দলের এক কর্মীকেও। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরার বক্তব্য, ‘‘অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত চালাচ্ছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy