Advertisement
E-Paper

Murder: দুষ্কৃতীদের হাতে খুন ইছাপুরের তৃণমূল নেতা, বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ শাসকদলের

পুলিশ সূত্রে খবর, ইছাপুর বাবজি কলোনি এলাকায় শনিবার রাতে প্রাক্তন নোয়াপাড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মজুমদারের উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ০০:৪২
শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।

শোকাহত পরিবারের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র।

অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন ইছাপুরের তৃণমূল নেতা। তাঁর মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতের এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই খুনের সঙ্গে বিজেপি যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বিজেপি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইছাপুর বাবজি কলোনি এলাকায় শনিবার রাতে নোয়াপাড়া শহর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল মজুমদার (৫৮)-এর উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর গোপালকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শেষে ফের ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে তারা।

এই ঘটনায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিজয় মুখোপাধ্যায় নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ইছাপুর মানিকতলা এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন গোপাল। সেই সময় তাঁর পথ আটকায় এক দল দুষ্কৃতী। স্থানীয় মানুষেরাও একটি গুলির শব্দ শুনতে পান বলে দাবি তাঁদের।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শনিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে খুন করা হয়েছে গোপালকে। তাঁরা জানিয়েছেন, উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপ্রা মজুমদারের স্বামী গোপাল। শনিবার ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এর পর তার দেহ ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শনিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ বর্মা বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে পৌঁছন।
কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, বিজেপি-র দিকেও অভিযোগের তির শাসকদলের। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি।

প্রসঙ্গত, ইছাপুর এলাকায় জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত ছিলেন গোপাল। দিন দুয়েক আগেই বিজয়ের সঙ্গে গোপালের গন্ডগোল হয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই এই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

TMC Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy