নিহত মনোরঞ্জন পাত্র। —নিজস্ব চিত্র।
ডোমকলের পর এ বার খানাকুল। নির্বাচনের পর এ রাজ্যে হিংসার ঘটনা যেন থামতেই চাইছে না। এ বার খুন হলেন তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা। শনিবার রাতে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই এলাকায় শাসক দলের কার্যালয়ের কাছে। এই ঘটনায় বিজেপি-র হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। যদিও তা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মনোরঞ্জন পাত্র (৫৬)। তিনি হুগলির হরিশচক এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কাল সন্ধ্যায় হরিশচক এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসের ভিতরে বসেছিলেন খানাকুল ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য মনোরঞ্জন। সে সময় কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি তিনি। এলাকার মানুষজন তাঁর খোঁজ শুরু করেন। রাতেইপার্টি অফিসের কিছুটা দূরেই তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ মনোরঞ্জনের খুনের ঘটনার পিছনে বিজেপি জড়িত বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: অবস্থানে অনড় থেকে রফাসূত্রের খোঁজ, আলোচনা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও
আরও পড়ুন: আন্দোলন এ বার ঔদ্ধত্যে পৌঁছচ্ছে
শনিবার ভোরেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তিন তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় সিপিএম-কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের অন্য প্রান্তে আরও একটা খুনের ঘটনা ঘটল। এ বারও বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে শাসক দল। তবে খানাকুলের ঘটনায় বিজেপি-ই দায়ী বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy