Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বক্সীর গাড়িতে লাঠি তুফানগঞ্জে

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই কোচবিহার জেলার প্রায় সর্বত্র কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তৃণমূল।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০৪:২১
Share: Save:

গত মাসে কোচবিহারে কর্মিসভা করতে এসে বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভে শীতলখুচিতে ঢুকতে পারেননি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। এ দিনও তুফানগঞ্জে ঢোকার সময়ে তাঁর কনভয় আটকানোর চেষ্টা হয়। যে কমিউনিটি হলে সভা ছিল, তার আগে তাঁর গাড়ি থামিয়ে বিজেপি সমর্থকেরা তাতে লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ। তুফানগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক ফজল করিম মিয়াঁর গাড়িও আক্রান্ত হয়। শেষে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ভিড় সরায়। দলীয় সূত্রের খবর, এর পরে সভায় ঢুকে ক্ষুব্ধ সুব্রত দলীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। পুলিশ ওই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করছে। কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অশান্তি ছড়ানো, সরকারি কাজে বাধা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।”

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই কোচবিহার জেলার প্রায় সর্বত্র কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তৃণমূল। দলের কর্মীদের একাংশেরই দাবি, বেশির ভাগ নেতাই বিজেপির দাপটে হয় ঘরছাড়া, নয়তো গৃহবন্দি। তাই প্রতিরোধ দূরে থাক, পথে নেমে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার লোকও কমে গিয়েছে। মঙ্গলবার তুফানগঞ্জ ও কোচবিহারে দু’টি বৈঠকে সেই জায়গাটাকেই চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন সুব্রত বক্সী। তৃণমূল দাবি করেছে, সুব্রতর কর্মিসভা আটকাতে সকাল দশটায় বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা তুফানগঞ্জ থানার মোড়ে কালো পতাকা নিয়ে হাজির হন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের গাড়ি শহরে ঢুকলে কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। কমিউনিটি হলের দু’দিকে ভিড় করে থাকা বিজেপি কর্মীদের সরাতে এর পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তাতে বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতি জখম হন বলে দাবি।

এর পরেই কনভয় নিয়ে শহরে ঢোকেন সুব্রত বক্সী। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিজেপি কর্মীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকে। গাড়ির উপরে লাঠি দিয়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ। সুব্রতকে কমিউনিটি হলে পৌঁছে দেয় পুলিশ। এর পরে বিজেপির রোষের মুখে পড়েন বিধায়ক ফজল করিম মিয়াঁ। প্রথমে কমিউনিটি হলের সামনে তাঁর গাড়িতে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তার পরে মহকুমাশাসকের দফতর পর্যন্ত তাঁর গাড়িকে তাড়া করেন বিজেপি কর্মীরা।

তুফানঞ্জের বিজেপি নেতা উৎপল দাস বলেন, “কাটমানি নেওয়া নেতা এবং বাইরে থেকে কিছু লোকজন নিয়ে এসে তুফানগঞ্জকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ক্ষমতায় না এসেই বিজেপি কর্মীরা যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রত্যেক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি করার অধিকার রয়েছে।”

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Subrata Bakshi TMC Tufanganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE