তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যপালের দেওয়া ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কারের চারটির মধ্যে দু’টিই বরাহনগরের। উত্তর শহরতলির ওই বিধানসভার দু’টি পুজো কমিটিকে বেছে নেওয়ার জন্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে কৃতজ্ঞতা জানালেও তাঁর দেওয়া পুরস্কারকে প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস রায়। বরাহনগর নেতাজি কলোনি লোল্যান্ডের পুজো মণ্ডপ চত্বরে ওই কমিটির মুখ্য সংগঠক তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপনারায়ণ বসু এবং সিঁথি সার্কাস মাঠের বন্ধু দল ক্লাবের পুজোর সম্পাদক বাসবচন্দ্র ঘোষকে পাশে বসিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের কথা বলেছেন তাপস। তিনি নিজেও ওই দু’টি পুজোর শীর্ষ পদে রয়েছেন। তাপস বলেন, ‘‘বাংলার দুর্গারা কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না। কাজ পাচ্ছেন না। পুরুষদেরও একই অবস্থা। এই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তা যখন হয়নি, তখন তাঁর দেওয়া পুরস্কারও প্রত্যাখ্যান করছি।’’ তিনি জানান, তাঁদের একটি সামাজিক দায়িত্ব আছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এমন পুরস্কার নেওয়া সম্ভব নয়। রাজভবনের সামনে ধর্নায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যদি কোনও সুরাহা না হয়, তা হলে পুজোর পরে ফের আন্দোলন হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের সেই আন্দোলন শুরুর আগে এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে রাজ্যপালকে বার্তা দেওয়া হল বলেও মনে করেন তাপস। যদিও রাজ্যের পাওনার কথা রাজ্যপাল বোস দিল্লির দরবারে তুলে ধরায় তাঁকে ‘আন্তরিক কৃতজ্ঞতা’ জানিয়েছিলেন অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy