Advertisement
E-Paper

‘খাম ছায়ায়’ তৃণমূলে অধীর

দলের এক তাবড় নেতা বলছেন, ‘‘শেকড়টাকে তো অস্বীকার করা যায় না, আমরা সবাই কংগ্রেস থেকে এসেছি। অধীরদার সেই রীতি মেনেই তাই খামে ভরে প্রধান উপ-প্রধানের নাম পাঠানো হয়েছে।’’

কৌশিক সাহা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৫০

দাপট গিয়েছে, কিন্তু তাঁর ‘ছায়া’ রয়ে গিয়েছে আজও।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির খাসতালুকে, তাঁর দেখানো রীতি মেনেই তাই খামে ভরে মনোনীত প্রধানের নাম পাঠাল জেলা তৃণমূল।

দলের এক তাবড় নেতা বলছেন, ‘‘শেকড়টাকে তো অস্বীকার করা যায় না, আমরা সবাই কংগ্রেস থেকে এসেছি। অধীরদার সেই রীতি মেনেই তাই খামে ভরে প্রধান উপ-প্রধানের নাম পাঠানো হয়েছে।’’

বুধবার এই নাটকীয় প্রধান গঠন দেখল ভরতপুর ১নম্বর ব্লকের জজান গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই অঞ্চলের মোট ১৪টি আসন। সব ক’টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয় তৃণমূল। ওই অঞ্চলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে দু’দিন আগে থেকেই পঞ্চায়েতের সদস্যদের একত্রিত করে রাখে দলীয় নেতৃত্বরা। ওই ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে গুন্দিরিয়া, ভরতপুর ও সিজগ্রাম তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আগেই প্রধান গঠন হয়েছিল।

বাকি পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে প্রধান গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হতেই মঙ্গলবার রাতে দলীয় ক্যাম্পে সদস্যদের মধ্যে ভোটাভোটি হয়। সেখানে যারা প্রধান ও উপ-প্রধান নির্বাচিত হন তাঁদের নাম খামবন্দি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এ দিন।

প্রশাসনিক কর্তাদের সামনে ওই খাম খুলে প্রধানের নামের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তার পরে উপ-প্রধানের নাম। কংগ্রেস ছেড়ে বছর তিনেক আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক তৃণমূল নেতা বলেন, “দাদা (অধীর) নেই, কিন্তু দাদার সেই নিয়মেই কাজ করতে হচ্ছে। দাদা আমাদের কাছে না থেকেও আছেন।”

তবে এ দিনই ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও নব্য-তৃণমূল নেতৃত্বকে ভরসা করতে হয়েছে অধীরের দেখানো পদ্ধতিকে।

এবং মজার ব্যাপার, অধীরের সেই নিয়মের কেউ বিরোধিতা করেননি।

Panchayat Election 2018 Adhir Ranjan Chowdhury Board Formation TMC Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy