অটলবিহারী বাজপেয়ীর অস্থি হাতে পালিত কন্যা নমিতা।
রাজ্য বিজেপির উদ্যোগে অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায় যোগ দেবে না তৃণমূল। সিপিএম এবং কংগ্রেস অবশ্য জানিয়েছে, তারা যাবে।
মহাজাতি সদনে আগামী বুধবার বাজপেয়ীর স্মরণসভা করবে রাজ্য বিজেপি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাঁর দফতর থেকে সময় পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এই অবস্থায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শনিবার দলের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘ বাজপেয়ী একজন জাতীয় নেতা। তাঁর প্রয়াণের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অন্ত্যেষ্টিতে তৃণমূলের সাংসদ প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। দিল্লিতে বাজপেয়ীজির স্মরণসভাতেও আমাদের সাংসদরা গিয়েছেন। কলকাতায় কিছু করার আছে বলে মনে করি না।’’ মহাজাতি সদন সরকারি প্রেক্ষাগৃহ। সেখানে বাজপেয়ীর স্মরণসভার বন্দোবস্ত করার ব্যাপারে বিজেপিকে সহায়তা করা হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এবং রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরে গিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর জন্য বাজপেয়ীর স্মরণসভার আমন্ত্রণপত্র দেন। বিমানবাবুর সঙ্গে তাঁদের দেখাও হয়। বিজেপি সূত্রের খবর, বুদ্ধবাবুর বাড়ি গিয়ে তাঁকে নিমন্ত্রণ করতে চেয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। কিন্তু বুদ্ধবাবুর তরফে জানানো হয়, দলীয় দফতরে আমন্ত্রণপত্র দিলেই হবে। তাই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেই বুদ্ধবাবুর জন্য চিঠি রেখে আসেন বিজেপি নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও বাজপেয়ীর স্মরণসভার আমন্ত্রণপত্র দেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, দিল্লিতে বাজপেয়ীর স্মরণসভায় তাঁদের সাংসদ জিতেন চৌধুরী গিয়েছিলেন। কলকাতাতেও ওই অনুষ্ঠানে তাঁদের কোনও প্রতিনিধি যাবেন। অধীরবাবুরও বক্তব্য, জাতীয় স্তরের মতোই কলকাতাতে ওই সভায় যোগ দিতে তাঁদের অসুবিধা নেই।
গঙ্গাসাগরে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম বিসর্জন হয়েছে শুক্রবার। বিজেপির একাংশের ধারণা, ওই পর্বে যে ধরনের জনসমাগম এবং আগ্রহ প্রত্যাশিত ছিল, তা মেলেনি। দলেরই এক নেতার মন্তব্য, ‘‘এই রাজনীতিটা জমল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy