পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারকে হেনস্থার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ড্লে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন ভিডিয়োতে যাঁকে হেনস্থা করতে দেখা যাচ্ছে তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বিধায়ক অবশ্য দাবি করেছেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা! আমি যথাসময়ে যথা জায়গায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।” ভিডিয়োয় নিগ্রহকারী হিসেবে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে বিধায়ক ও প্রাক্তন আইপিএসের তেমন কোনও মিল অবশ্য সাদা চোখে ধরা পড়ছে না। ভিডিয়োয় থাকা নিগ্রহকারী বয়সেও দৃশ্যত হুমায়ুনের চেয়ে তরুণ।
শুভেন্দু এক্স হ্যান্ড্লে লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে শাসক দলের নেতাদের ‘সীমাহীন অহঙ্কার’ মাত্রা ছাড়িয়েছে। যার একটি মর্মান্তিক উদাহরণ সামনে এসেছে। ভিডিয়ো-সমেত বিরোধী দলনেতার দাবি, বিধাননগরের স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার প্রলয় চক্রবর্তীকে তাঁর অফিসের ভিতরে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করছেন হুমায়ুন। যার জেরে ওই ব্যক্তি দফতর ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তার পরেও স্বাস্থ্য ভবন বধির! তাঁর প্রশ্ন, ‘‘প্রশাসন কি কোনও পদক্ষেপ করেছে? তারা কি গুন্ডারাজকে আড়াল করতে চাইছে?’’ নিগ্রহকারী ও নিগৃহীতের ধর্মীয় পরিচয় এই নিষ্ক্রিয়তার কারণ কি না, সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু!
যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যা জেনেছি, বিরোধী দলনেতা সম্পূর্ণ ভুল ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। বিরোধী দলনেতা যাঁর কথা বলেছেন, তিনি ছবির ব্যক্তি নন বলে আইনি নোটিস দিতে চলেছেন। ওই ব্যক্তির দাবি সত্যি হলে এই ভিডিয়ো প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’ তবে ভিডিয়োয় ছবি থাকা ব্যক্তি যদি তৃণমূলের বিধায়ক না-ও হন, তা হলেও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের ঘরে ঢুকে নিগ্রহের ঘটনা কী ভাবে ঘটল, বা ওই ঘটনা অন্য কোনও জায়গার কি না, সে সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অমিল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)