Advertisement
E-Paper

পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘জামাই আদর’ করা মুশকিল, শতাব্দীর মন্তব্যে জোর বিতর্ক

শাসকদলের সাংসদের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২০ ০৪:২৮
শতাব্দী রায়। ফাইল চিত্র।

শতাব্দী রায়। ফাইল চিত্র।

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘জামাই আদর’-এর ব্যবস্থা করা মুশকিল— এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। পরিযায়ীদের বিভিন্ন দুর্ভোগের অভিযোগ তুলে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে শতাব্দীর আরও মন্তব্য, ‘‘বিরোধীরা চাইলে শ্রমিকদের পাঁচতারা হোটেলে রাখতে পারেন।’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগের দায় কেন্দ্রের। বিরোধীরা কুৎসা করছে।’’

লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে চাপান-উতোর চলছেই। রাজ্যেও সেই আবহে শনিবার নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বীরভূমের সাংসদ। এ দিন শ্রমিকদের দুর্ভোগের অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী বলেন, ‘‘হাজার হাজার লোক আসছেন। সবাই যদি জামাই আদর চান, তা হলে তো মুশকিল। মাছ দিলে বলছে, মাংস দেয়নি। মাংস দিলে বলছে, ডিম দেয়নি।’’

করোনা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে এ দিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের অন্তর্গত সাঁইথিয়ায় গিয়েছিলেন সাংসদ। সাঁইথিয়া ব্লক অফিসে বিডিও স্বাতী দত্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছে সাংসদ এলাকার সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টার নিয়ে খোঁজখবর নেন। বীরভূমে একাধিক স্কুল, কলেজে কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করেছে সরকার। দেওয়া হচ্ছে খাবারদাবারও। তবে, সরকারি সেন্টারের ‘অব্যবস্থা’ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। সেই অভিযোগ সম্পর্কে শতাব্দী এই মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গেই এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে বীরভূমের সাংসদ বলেন, ‘‘এঁরা অনেকে বাড়ি ফিরতে চাইছেন। সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। একটু মানিয়ে নিতে হবে। এখন বাঁচার লড়াই।’’

আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রীর জল্পনায় মুকুলও

শাসকদলের সাংসদের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার প্রথমে পরিযায়ী শ্রমিকদের আনতে চায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার মানবিকতার কারণে পাঠিয়েছে। এই কথায় স্পষ্ট, এঁদের সামান্য সহমর্মিতাও নেই।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘চূড়ান্ত অমানবিক মন্তব্য। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই সাংসদ ওই মন্তব্য করেছেন।’’

দলীয় সাংসদের মন্তব্য সম্পর্কে পার্থবাবু বলেন, ‘‘কিসের পরিপ্রেক্ষিতে শতাব্দী এ কথা বলেছেন, জানি না। অহেতুক কথাবার্তা চলছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগের দায় তো কেন্দ্রীয় সরকারের। পরিকল্পনাহীন লকডাউন, রাজ্যের সঙ্গে অসহযোগিতা আর বিনা চিকিৎসায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরেও রাজ্যের সমালোচনা কুৎসা ছাড়া কী!’’

Shatabdi Roy Migrant Workers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy