সুখেন্দু শেখর রায়।
জনস্বার্থেই কি নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি ইডিকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে? নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রাজনৈতিক স্বার্থও রয়েছে? প্রশ্ন তৃণমূলের। তাদের যুক্তি, তা না হলে শুধু একটি দলেরই নেতা-মন্ত্রীদের নাম কেন তালিকায়। দেশের বাকি রাজনৈতিক দলগুলিরও নেতাদের সম্পত্তিতে নজর দিক ইডি।
বাংলার নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি পুরনো জনস্বার্থ মামলায় সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এক আইনজীবী আর্জি জানান, ইডিকে রাজ্যের ১৯ জন নেতা ও মন্ত্রীর সম্পত্তির হিসাব খতিয়ে দেখতে বলা হোক। কোন ১৯ জন নেতা এবং মন্ত্রী? আইনজীবী তার একটি তালিকা দেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই নেতা-মন্ত্রীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দিয়ে তিনি জানান, পাঁচ বছরে এঁদের সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। ঘটনাচক্রে তালিকার অধিকাংশই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী। এ ছাড়া কিছু প্রাক্তনী এবং দলেরই কয়েকজন প্রয়াত মন্ত্রীরও নাম রয়েছে। হাই কোর্ট ওই মামলায় ইডিকে পার্টি করতে বলে দুপুরে। সন্ধ্যায় তার প্রতিক্রিয়া দিল তৃণমূল। তারা জানাল, জনস্বার্থ মামলা কোনও একটি ব্যক্তি, দল বা সংগঠনকেন্দ্রিক হতে পারে না। যেখানে জনগণ সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছেন, সেই সব ক্ষেত্রেই জনস্বার্থ মামলা হতে পারে।
তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘যারা এই ব্যাপারগুলির ঘটাচ্ছেন, তাঁদের ভাবতে হবে এটাকে একটা সার্বিক চেহারা দেওয়া দরকার নাকি বেছে বেছে ব্যাপারগুলো করা দরকার। ২০১১ সাল এবং ২০১৬ সালের হলফনামা মিলিয়ে সম্পত্তির হ্রাসবৃদ্ধির হিসেব শুধু একটি দলের বিরুদ্ধে কেন, সারা ভারতবর্ষে সমস্ত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে হোক, বিজেপির হোক, কংগ্রেসের হোক, সমাজবাদী পার্টির হোক, যত পার্টি আছে, সবার হোক। তবেই বুঝব জনস্বার্থে মামলা হয়েছে।’’ এর পরই সুখেন্দুর সংযোজন, ‘‘কিন্তু এর সঙ্গে যদি বিশেষ কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকে, তবে আমার মনে হয় একে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy