Advertisement
E-Paper

নন্দীগ্রামে মমতার সভায় লক্ষ্য ৩ লাখ জমায়েতের, শিশিরকে নিয়ে নিরুত্তাপ দল

মমতার সভায় রেকর্ড জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে জোড়াফুল শিবির। জেলা নেতৃত্বের দাবি, ওই সভায় ৩ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৭
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিশির অধিকারী। — ফাইল চিত্র

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিশির অধিকারী। — ফাইল চিত্র

মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তার পরেই নন্দীগ্রামে পা রাখতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ জানুয়ারি দলনেত্রীর সভা ঘিরে সাজ সাজ রব পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় পা রেখে তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন, সে দিকে নজর থাকবে গোটা রাজ্যের। তেমনই স্থান, কাল এবং পাত্রের নিরিখে তৃণমূলের মমতার ওই জনসভা আরও ‘আকর্ষণীয়’ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, সদ্য ‘ডানা ছাঁটা’ শিশির অধিকারী এবং তাঁর পুত্র তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ওই দিন সভায় উপস্থিত থাকেন কি না তা-ও পর্যবেক্ষণের বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে। শিশিরের শব্দে ‘কান পেতে’ রয়েছে ঘাসফুল শিবিরও।

৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে ‘শহিদ দিবস’ পালন করতে যাওয়ার কথা ছিল মমতার। কিন্তু সেই কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়। ১৮ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার নন্দীগ্রামে সভা তাঁর। মমতার সভায় রেকর্ড জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে জোড়াফুল শিবির। জেলা নেতৃত্বের দাবি, ওই সভায় ৩ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবেই।

নন্দীগ্রামে মমতার সভা এক অর্থে তৃণমূলের শক্তি প্রদর্শনের ময়দান-ও বটে। কারণ এই নন্দীগ্রামের সঙ্গেই জড়িয়ে তৃণমূলের জমি আন্দোলনের ইতিহাস। আবার এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ৩ লক্ষের লক্ষ্যপূরণে পূর্ণশক্তি নিয়েই ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের গলায়। তিনি বললেন, ‘‘নন্দীগ্রামে দলনেত্রীর সভায় ৩ লাখ লোক আসা নিশ্চিত। এ জন্য একটানা পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলাস্তরে বৈঠক চলছে।’’

আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকে আস্থা জানিয়ে সপরিবার গোয়া চললেন শতাব্দী

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৬০৯, সুস্থ হলেন ৬৬৬ জন

জনসভায় জমায়েত যেমন লক্ষ্য। তেমনই নজর রয়েছে ব্যক্তির গতিবিধির উপরেও। তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সদ্য ‘সরিয়ে দেওয়া’ শিশির এবং তাঁর পুত্র দিব্যেন্দু ওই দিন কী করবেন? সেই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে শিশির বলেন, “আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমি নন্দীগ্রামের মিটিং সম্পর্কে কিছুই জানি না। তৃণমূল আমাকে কী একটা ল্যাম্পপোষ্ট পদ দিয়েছে, এটা খায় না মাথায় দেয়, আমার জানা নেই। যাঁরা আমার অনুরাগী তাঁদের বলব, আপনারা বিচক্ষণ। সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে আপনারা ভবিষ্যতের চিন্তা করুন।’’ রহস্যের জিইয়ে রেখে দিব্যেন্দুর সংক্ষিপ্ত উত্তর, “আমি এখন কোনও বিষয়েই মুখ খুলব না। ১৮ জানুয়ারির পর যা বলার বলব।’’

শিশিরকে নিয়ে তাঁর জায়গায় আসা সৌমেন অবশ্য শ্রদ্ধাশীল। তিনি বলছেন, “উনি (শিশির অধিকারী) দলের পথ প্রদর্শক। ওঁর দেখানো পথেই আমরা এগিয়ে চলেছি।’’ ‘চেয়ারম্যান’কে কি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে সৌমেনের কৌশলী জবাব, ‘‘অনুষ্ঠান তো ওঁরই। উনি চেয়ারম্যান। কাউকে আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শিশিরবাবুর কিছুদিন আগেই চোখের অপারেশান হয়েছে শুনেছি। তার পর থেকে ওঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি।”

সৌমেনের সুরেই সুর মেলাচ্ছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। তাঁর মত, “সাংসদের এলাকায় দলীয় কর্মসূচি। সেখানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানাবে কে? অনুষ্ঠান তো ওঁরই। কোনও নেতানেত্রীকে আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’

TMC Mamata Banerjee Sisir Adhikari Nandigram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy