Advertisement
E-Paper

লড়াই সিপিএমের সঙ্গে, বলছে তৃণমূল

এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক টিকিট পাননি। যে পুরপ্রধানকে প্রার্থী করা হয়েছে, তার পাশের পুরসভা থেকেও টিকিটের দাবিদার ছিলেন। বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে শিউলি ও মোহনপুর পঞ্চায়েতেও গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিছক আসন পুনরুদ্ধার নয়। নোয়াপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি-র ভোট বাড়তে না দেওয়ার চ্যালেঞ্জও হাতে নিল তৃণমূল।

এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক টিকিট পাননি। যে পুরপ্রধানকে প্রার্থী করা হয়েছে, তার পাশের পুরসভা থেকেও টিকিটের দাবিদার ছিলেন। বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে শিউলি ও মোহনপুর পঞ্চায়েতেও গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব। উপনির্বাচনের রাশ ছাড়া হয়েছে ভাটপাড়ার অর্জুন সিংহকে। কিন্তু ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দলের মধ্যে একাধিক নেতার সম্পর্ক তাঁর সঙ্গে মসৃণ নয়। এমন শিবির বিভাজনের ফায়দা যাতে কোনও ভাবেই বিজেপি-র ঘরে গিয়ে না ওঠে, তার জন্য তৎপর হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্প্রতি সবং বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভাবে জিতলেও ১৫% ভোট বেড়েছে বিজেপি-র। তৃণমূলের একাংশের ভোট বিজেপি-র দিকে গিয়েছে, দলের মধ্যেই এমন অভিযোগের জেরে স্থানীয় নেতৃত্বের রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। নোয়াপাড়ায় দলকে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতাতে হবে বলে কর্মীদের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন তিনিই।

দলীয় প্রার্থী, গারুলিয়ার পুরপ্রধান সুনীল সিংহের সমর্থনে বুধবার পলতার ৫ নম্বর স্কিম মাঠে নির্বাচনী কর্মিসভায় ছিলেন বক্সী, তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অর্জুন, পার্থ ভৌমিকেরা। বক্সী বলেন, ‘‘সবংয়ের চেয়েও ভাল ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। আমাদের জিততে হবে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে।’’ সবংয়ে তৃণমূলের ঘর থেকে বিজেপি-র বাক্সে ভোট যাওয়ার পিছনে সদ্য দলত্যাগী মুকুল রায়ের হাতযশ ছিল বলে শাসক শিবিরেরই একাংশের সন্দেহ। সে দিক থেকে নোয়াপাড়া মুকুলের ‘ঘরের মাঠ’! সে কথা মাথায় রেখেই জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেছেন, ‘‘মুকুল রায় কোনও ফ্যাক্টর নন। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ থাকলে সেটা সিপিএম। বিজেপি ও কংগ্রেস তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকবে।’’

মুকুল তৃণমূলে থাকার সময়েও অর্জুনের সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা় লড়াই ছিল। এখন মুকুল-বিদায়ের পরে তাঁর ছায়া যাতে বিজেপি-র ভোটবাক্সে কাজ না করে, সেই লক্ষ্য সামনে রেখেছেন অর্জুন। তিনি সাফ বলছেন, ‘‘হিম্মত থাকলে মুকুল রায় নিজেই নোয়াপাড়ায় বিজেপি-র প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় হয়ে দেখান! আধা-সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট করান। তার পরেও দ্বিতীয় স্থান পেয়ে দেখান।’’ কর্মিসভায় অবশ্য অর্জুনের ‘নির্দেশ’, বিরোধীদের এমন হাল করতে হবে, যাতে বুথে এজেন্ট বসাতে না পারে!

কর্মিসভায় দেখা যায়নি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক ম়ঞ্জু বসুকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমায় তো কেউ কিছু জানায়নি!’’ সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায় পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে লড়াই শুরু করে দিয়েছেন। অশোকনগরের মাঠে আজ, বৃহস্পতিবার বামফ্রন্টের কর্মিসভায় থাকার কথা সূর্যকান্ত মিশ্র, গৌতম দেবের।

TMC CPIM Sabang Election BJP তৃণমূল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy