উদয়ন গুহ। ফাইল চিত্র।
এক বিধায়ক তথা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। তা-ও আবার নিজের মেয়েকেই দুর্নীতির আশ্রয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর তা দলের পক্ষে বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই কোচবিহারে দলের বাকি দুই বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া ও উদয়ন গুহকে দল বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে বলে সূত্রের খবর।
দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই দুই বিধায়ককে কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ মে উদয়ন দিনহাটায় মিছিলের ডাক দিয়েছেন। সেই মিছিলে তিনি বড় আকারের জমায়েতের চেষ্টা করছেন। জগদীশও একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগে জোর দিয়েছেন। তবে কেউই ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। উদয়ন বলেন, “দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে অন্য কোনও কিছুর যোগ নেই।” জগদীশ বলেন, “সারা বছর ধরে আমাদের কর্মসূচি চলতে থাকে। সেখানে অন্য কোনও ব্যাপার নেই।”
এ বারের বিধানসভায় কোচবিহারে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়। জেলার ৯টি বিধানসভার মধ্যে ৭টিতেই জয়ী হয় বিজেপি। মেখলিগঞ্জ ও সিতাই বিধানসভা নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হয় রাজ্যের শাসকদল। পরেশ অধিকারী ২০১৮ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। জগদীশ অবশ্য পর পর তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক। তার পরেও দল পরেশের উপরে আস্থা রাখে। তাঁকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এরই মধ্যে উপনির্বাচনে দিনহাটায় বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল জয়ী হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির ছ’জন বিধায়ক এবং একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন কোচবিহারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক নানা ভাবে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। সেখানে রাজ্যের শাসকদল এক মন্ত্রী ও দুই বিধায়ককে সামনে রেখে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করে। এই সময়ে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির আশ্রয়ে নিজের মেয়েকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পরেশকে তিন দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। দল মনে করছে, এই সময়ে বাকি দুই বিধায়কই তাঁদের কাছে ভরসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy