রাত পোহালেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভার দিকে নজর রাখছে তৃণমূল শিবির। যোগীর সভায় কত লোক জমায়েত হয়, তা দেখতে বিজেপির এই সভায় কোনওরকম বাধা দিতে চাইছে না তৃণমূল নেতৃত্ব, এমনটাই খবর। রাজনৈতিক মহলের মতে, যোগীর সভার ভিড় দেখে আসন্ন লোকসভার ‘জল মাপতে’ চাইছে ঘাসফুল শিবির।
অন্য জেলাতে বিজেপি নেতাদের সভায় বাধা তৈরির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারই বলেন, ‘‘এই জেলায় আমরা এখনও কোনও বাধার সম্মুখীন হইনি। আমাদের বাধা দিতে গেলে যে শক্তির প্রয়োজন, এই জেলায় তৃণমূলের সেই শক্তিই নেই।’’ তাঁর দাবি, যোগীর সভায় দেড় লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, তাঁরা দেখতে চাইছেন, বিজেপির শক্তি ঠিক কতটা। তাই এই সভায় কত জন শেষ পর্যন্ত আসেন, তার উপরে নির্ভর করেই ভোটের অঙ্ক কষা শুরু হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রও ভিড়ের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, তাঁরা যোগীর সভার দিকে নজর রাখছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বালুরঘাটে একের পর এক বড় বড় সভা করেছি। এখন দেখি বিজেপি উত্তরপ্রদেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এনে কত লোক জমায়েত করতে পারে। সভায় মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করবে জনগণ কার সঙ্গে রয়েছে।’’
শাসক দলের অন্দরের খবর, যোগীর সভায় যত জন আসবেন, তার থেকেও বেশি মানুষ এনে এরপরে সভা করবে তৃণমূল। তাতেই বাজিমাত করা যাবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতারা। আর এই কারণেই যোগীর এই সভায় যাতে কোনও বাধা দেওয়া না হয় তার নির্দেশও তৃণমূল নেতৃত্ব ব্লকে ব্লকে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যোগীর সভার দিকে নজর রাখছে সব মহলই।