মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। বুধবার রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূলকর্মীকে উদ্ধার করে কান্দি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ষষ্ঠী ঘোষ নামের বছর চুয়ান্নর ওই তৃণমূলকর্মীর পরিবারের দাবি, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
বুধবার রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন ভরতপুরের আলু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেলাই গ্রামের বাসিন্দা ষষ্ঠী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় কয়েক জনের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। বচসা চলাকালীন দু’টি বাইকে থাকা জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী অতর্কিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ষষ্ঠীর উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এলোপাথাড়ি কোপে গুরুতর জখম হন ওই তৃণমূলকর্মী। তাঁর চিৎকারে স্থানীয়েরা ছুটে যান। তার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
ষষ্ঠীর ভাইপো আশিস ঘোষ বলেন, “এখানে তৃণমূলের দুটো গোষ্ঠী। অনেক দিন থেকেই কাকাকে মারার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। ওরাই হয়তো খুন করেছে।” তবে নির্দিষ্ট কারও নাম করেননি তিনি। এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ সংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কাউকে রেয়াত করা হবে না।”
আরও পড়ুন:
ঘটনার তদন্তে নেমে রাত থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে এলাকার সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না কি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত জুন মাসে মুর্শিদাবাদেরই শমসেরগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে ইট দিয়ে থেঁতলে এক তৃণমূলকর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। জুন মাসেই জেলার হরিহরপাড়ায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় এক তৃণমূলকর্মীর।