রবিবার সন্ধ্যায় গলসির পুরসা গ্রামে তৃণমূলের কর্মিসভা। —নিজস্ব চিত্র।
শাসকদলের কর্মিসভায় কার্যত প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। খোদ ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বক্তৃতা দলেরই নেতা-নেত্রীদের একাংশের। রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে দলের ব্লক সভাপতিকে পরস্পরের শক্তি যাচাইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের এক ছাত্রনেতা। গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার সন্ধ্যায় গলসির পুরসা গ্রামে তৃণমূলের কর্মিসভার আয়োজন করেছিল ব্লক এসসি এবং ওবিসি সেল-সহ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অভিযোগ, সেই সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে গলসি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন দলের ছাত্রনেতা তাপস সোম-সহ নেতা-নেত্রীদের একাংশ। এতে সভায় চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। যদিও তাপসকে থামিয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ কর্মীদের শান্ত হওয়ার বার্তা দেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, রবিবার গলসি ১ নম্বর ব্লকের ঘাগরা গ্রামের তৃণমূলকর্মী বকুল মোল্লাকে একা পেয়ে মেরে তাঁর হাত-পা ভেঙে দেয় দলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন। সে ঘটনা নিয়েই সন্ধ্যায় কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকির ছাড়াও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি তাপস সোম-সহ দলেরা নেতা-কর্মীরা। ওই সভায় জনার্দনকে হুমকি দিয়ে তাপস বলেন, ‘‘দিনতারিখ স্থির করে এক দিন দেখা যাক, কার কত শক্তি!’’ এর পাল্টা হিসাবে জাকিরের দাবি, ‘‘বকুল মোল্লা দলের পুরনো কর্মী। তাঁকে মারধর করা হয়েছে। বর্তমান ব্লক সভাপতি নব্য তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চলছেন। পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়ে দলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।’’
এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ জনার্দন। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তিনি বলেন, ‘‘কে কী বললেন, তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। এলাকায় গেলেও জানতে পারবেন, আমি কী ভাবে চলি।’’ যদিও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু। তিনি বলেন, ‘‘দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে সকলকেই চলতে হবে। কী হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে গোটা বিষয়টি দলকে জানানো হবে। দলবিরোধী কার্যকলাপ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy