শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং কুণাল ঘোষ। ছবি: ফেসবুক।
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বাংলায় প্রথম সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর কোচবিহারের সেই সভাকে কলকাতা থেকে পাঁচ বিশেষণে বিঁধল তৃণমূল। বিকেলে মেট্রোপলিটনের তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেখানেই কুণাল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভা দেখে আমাদের পাঁচটা জিনিস মনে হয়েছে। এক, আমানবিক, দুই, অসৎ উদ্দেশে মিথ্যাচার, তিন, দ্বিচারিতা, চার ভিত্তিহীন কুৎসা এবং পাঁচ মেকি দরদ।’’
অমানবিক কেন? তৃণমূলের বক্তব্য, কয়েক দিন আগেই জলপাইগুড়ি-কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা মিনিটখানেকের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল। যে ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। জখম কয়েকশো। সেই জখমদের অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের প্রশ্ন, সেই দুর্গতদের উদ্দেশে একটি শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী। কুণাল এবং ব্রাত্যের বক্তব্য, অথচ ঝড়ের রাতেই অকুস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় থেকে উদ্ধার়কাজের তদারকি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার শাসকদলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়েও প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, তা-ও মিথ্যাচার। ব্রাত্য, কুণালদের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ করেছেন শ্বেতপত্র প্রকাশের। সেই চ্যালেঞ্জের পর ৫০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি প্রধানমন্ত্রীর দলের।
মোদী কোচবিহার থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন, তার জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে। কুণাল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজে এক বার দেখুন। ওঁর পরিবার মানে কারা? ওঁর পরিবার মানে শুভেন্দু অধিকারী, নারায়ণ রানে, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অজিত পওয়ারেরা। যাঁদের বিজেপি আগে চোর বলত, এখন সাধু বলে।’’
কোচবিহারের সভায় তাঁর ১০ বছরের শাসনকালকে ট্রেলর বলে উল্লেখ করেছিলেন মোদী। তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ছবি এখনও বাকি। ব্রাত্য মন্ত্রী হলেও তিনি চিত্রপরিচালক। তিনি বলেন, ‘‘১০ বছরে যদি ট্রেলর হয় তা হলে প্রধানমন্ত্রীর ছবি বানানো হয়ে উঠবে না।’’ কুণাল আবার নিজের অভিনয়ের কথা উল্লেখ করে ‘দুঃখ’ করে বলেন, ‘‘আমার দুটো সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ হয়েছিল। একটির নাম বকুল, অন্যটির নাম চন্দন। দু’টিরই ট্রেলর প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু সিরিয়াল আর দিনের আলোর মুখ দেখেনি। ট্রেলর হয়ে গেলে সিনেমা না-ও হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy