Advertisement
E-Paper

ভোটে অশান্তি, ট্র্যাডিশন বজায় রাখল বালি

ভোটে অবধারিত গোলমালের ধারা অব্যাহত রইল বালিতে। মোট ১৬টি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন সকাল থেকেই অশান্ত। প্রায় সবক’টি ওয়ার্ডেই ৫০ শতাংশ বুথ থেকে বিরোধী দলগুলির এজেন্টদের বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৫ ১২:৪৭
ভোট দিতে বহিরাগত সাহায্য। লিলুয়ায় রণজিত নন্দীর তোলা ছবি।

ভোট দিতে বহিরাগত সাহায্য। লিলুয়ায় রণজিত নন্দীর তোলা ছবি।

ভোটে অবধারিত গোলমালের ধারা অব্যাহত রইল বালিতে। মোট ১৬টি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন সকাল থেকেই অশান্ত। প্রায় সবক’টি ওয়ার্ডেই ৫০ শতাংশ বুথ থেকে বিরোধী দলগুলির এজেন্টদের বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৫২, ৫৩, ৫৫, ৫৮, ৫৯, ৬০ ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ডে দেদার রিগিং এবং সন্ত্রাস চলছে বলে দাবি বিরোধীদের। শাসক দলের একাধিক বাইক বাহিনী টহল দিচ্ছে গোটা এলাকায়। যাদের টহল দেওয়ার কথা, সেই পুলিশের অবশ্য তেমন হেলদোল নেই।

ভোট শুরুর সময় গোলমাল সে ভাবে না থাকলেও সকাল ৯টা বাজতেই বাইক বাহিনীর তাণ্ডব শুরু হয়ে যায় বালি, বেলুড়, লিলুয়ার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে। হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদরাই বাইক বাহিনীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে বামাদের দাবি। যে সব এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীরা বুঝেছেন ভোটের হাওয়া প্রতিকূল, সেখানেই নাকি ডাক পড়েছে বাইক বাহিনীর। লিলুয়া এলাকার ৬১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হাতে সকালেই আক্রান্ত হন কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জীব বনসল। তাঁকে প্রবল মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হয় বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে। সঞ্জীব বনসলের মাথা ফেটেছে। অধিকাংশ বুথ থেকে বাম এজেন্টদের বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভারতী জনতা হাই স্কুলের বুথে গোলমালের ছবি তুলতে গিয়ে এক নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক এ দিন আক্রান্ত হন। অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এর পর রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায়ের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি পান। লিলুয়া, ভোটবাগান, বেলুড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক রিগিং-এর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইভিএমের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে জোড়াফুলের বোতাম টিপতে তৃণমূল কর্মীরা ভোটারদের বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ। কোনও কোনও ওয়ার্ডে আবার ভোটদাতার আঙুলে কালি লাগিয়ে তাঁকে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হচ্ছে। ভোটারের হয়ে ইভিএমের বোতাম অন্য কেউ টিপছেন বলে বিরোধী দলগুলির দাবি।

লিলুয়ায় তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে দলের কর্মীদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করছেন অরূপ রায়। বামেদের অভিযোগ, মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই তৃণমূল, দুষ্কৃতী, পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় গড়ে ভোট লুঠ চলছে বালিতে। অরূপবাবু অবশ্য বামেদের অভিযোগ নস্যা করে বলেছেন, দলের জেলা সবাপতি হিসেবে ভোটের দিন নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা তাঁর কর্তব্য। বাম এজেন্টদের বিভিন্ন বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে অরূপ রায় জানান, বামেরা এজেন্ট পায়নি। তাই মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।

bally vote unrest violence bally vote violence bally vote unrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy