হরিয়ানার কাছে হেরে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি থেকে বিদায় বাংলার। সুপার লিগ পর্বে যাওয়ার আর সুযোগ থাকল না গ্রুপ ‘সি’র চার নম্বরে নেমে যাওয়া অভিমন্যু ঈশ্বরণদের। প্রতিযোগিতায় ভাল শুরু করেও লাভ হল না। সোমবার প্রথমে ব্যাট করে হরিয়ানা করে ৯ উইকেটে ১৯১ রান। জবাবে ২০ ওভারে ১৬৭ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। একাধিক ক্রিকেটারের ব্যর্থতায় দাম পেল না মহম্মদ শামির ৪ উইকেট।
টানা দু’ম্যাচ হেরে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় সমস্যায় বাংলা। টস জিতে হরিয়ানার বিরুদ্ধে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক ঈশ্বরণ। কিন্তু শামি, আকাশ দীপ এবং শাহবাজ় আহমেদ ছাড়া বাংলার অন্য বোলারেরা প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করতে পারলেন না। হরিয়ানার ব্যাটারেরা কেউ বড় রান করতে না পারলেও সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে যায় তারা। ওপেন করতে নেমে অধিনায়ক অঙ্কিত কুমার করেন ৩০ বলে ৪৬ রান। ৫টি চার এবং ২টি ছয় মারেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে নিশান্ত সিধু করেন ৩১ বলে ৪৮। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১টি চার এবং ৪টি ছক্কা। চার নম্বরে নেমে যশবর্ধন দালাল করেছেন ২২ বলে ৩১। এ ছাড়া বলার মতো রান বলতে আর এক ওপেনার আরশ রাঙ্কার ১২ বলে ২০।
শামি বেশ ভাল বল করলেন এ দিন। ৪ ওভার বল করে ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন জোরে বোলার। ভারতীয় দলের আর এক সদস্য আকাশ ২ উইকেট নিয়েছেন ৩২ রান দিয়ে। শাহবাজ়ও ৩২ রান দিয়েছেন। তবে উইকেট পাননি। প্রদীপ্ত প্রামাণিক ২০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট সায়ন ঘোষের। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, কর্ণ লালেরা বল হাতে এ দিন সাফল্য পেলেন না।
জয়ের জন্য ১৯২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করতে পারেনি বাংলা। ওপেনার কর্ণ (৬) এবং তিন নম্বরে নামা ঈশ্বরণ (১১) দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলার ইনিংস। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেননি অন্য ব্যাটারেরা। অভিষেক পোড়েল ওপেন করে ২৪ বলে ৪৭ রান করেছেন। ৪টি চার এবং ৩টি ছয় মেরেছেন অভিষেক। চার নম্বরে নেমে ঋত্বিক করেন ৩৩ বলে ৪৪। ৪টি চার এবং ১টি ছয় এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। যুবরাজ কেসওয়ানি করেছেন ১৪ বলে ২৫। বাংলার আর কোনও ব্যাটার দলকে ভরসা দিতে পারেননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোয় প্রয়োজনীয় জুটিও তৈরি করতে পারেনি বাংলা।
হরিয়ানার সফলতম বোলার ইশান্ত ভরদ্বাজ ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। ২৫ রানে ২ উইকেট সুমিত কুমারের। ৩২ রানে ২ উইকেট সামন্ত জাখরের। অনশুল কম্বোজ ২ উইকেট নিয়েছেন ৪২ রান দিয়ে।