পদোন্নতির আগে বা পরে পুলিশকর্মী থেকে অফিসারদের প্রশিক্ষণ নিতে হয় ব্যারাকপুরে স্বামী বিবেকানন্দ রাজ্য পুলিশ অ্যাকাডেমি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে। যা কখনও কখনও এক মাসের বেশি সময় ধরে চলে। প্রশিক্ষণরত পুলিশকর্মীদের ওই সময়ে কোর্টে সাক্ষ্য থাকলে বা কোর্ট তাঁদের তলব করলে নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করেছে ভবানী ভবন। সূত্রের খবর, নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সশরীরে আদালতে হাজির হতে না পারলে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে হবে পুলিশকর্মীদের। পুলিশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতেও ভবানী ভবন ভিডিয়ো কনফারেন্সে সাক্ষ্যের বন্দোবস্ত করতে বলেছে।
জেলার পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার এবং কমান্ড্যান্টদের বলা হয়েছে, আদালতের সমন বা তলব এলে যথাসময়ে প্রশিক্ষণরত পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের জানাতে হবে। তাতে তাঁরা সজাগ থাকবেন। আগে পুলিশকর্মীদের কোর্টে না গিয়ে থানা থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা এখনও গৃহীত হয়নি। তবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকা পুলিশকর্মীদের ভিডিয়ো কনফারেন্সে সেখান থেকেই সাক্ষ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছেন পুলিশকর্তারা।
কেন এই নির্দেশ? পুলিশ জানায়, প্রতিবছর পুলিশকর্মী ও অফিসারদের কোনও না কোনও ব্যাচকে মাসাধিক কালের ওই প্রশিক্ষণ নিতে ব্যারাকপুর বা রাজ্যের অন্যত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে হয়। সাক্ষ্যের জন্য কোর্টের সমনই সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের হাতে পৌঁছয় না। সেই জন্য তাঁরা নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেন না। সশরীরে না হলেও ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে সাক্ষ্য দিতে পারেন তাঁরা, সেই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে ব্যারাকপুরের স্বামী বিবেকানন্দ রাজ্য পুলিশ অ্যাকাডেমির আইজি ও অন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষদের। কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনিট প্রধানদের এই বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে বলে জানান এক পুলিশকর্তা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)