আটকে: বিজেপির বিক্ষোভ। দুর্গাপুরের দুই নম্বর জাতীয় সড়কের পুরসভা মোড়ে। নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিংয়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপরে হামলার প্রতিবাদে সারা রাজ্যের মতো শুক্রবার দুর্গাপুর ও আসানসোলেও বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। ফলে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানজট তৈরি হয় পুরসভা মোড়ে। কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিজেপি-র তরফে বৃহস্পতিবারই রাজ্য জুড়ে অবরোধ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই আগেভাগেই সতর্ক ছিল পুলিশ। এ দিন দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করে সিটি সেন্টারে আসেন। প্রথমে জানা গিয়েছিল, অবরোধ হবে সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডে। পরে অবশ্য দেখা যায়, কর্মী-সমর্থকরা দু’নম্বর জাতীয় সড়কের পুরসভার মোড়ে গিয়ে প্রথমে বিক্ষোভ দেখান। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁরা জাতীয় সড়কে বসে পড়েন। মোড়ের দু’দিকে বহু গাড়ি আটকে যায়। সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড বা সিটি সেন্টার থেকে জাতীয় সড়কে যাতায়াতকারী গাড়ি অন্য রাস্তা ধরে গাঁধীমোড়ে গিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে। আগাম খবর পেয়ে যানজট এড়াতে আসানসোলের দিক থেকে শহরে ঢোকা গাড়িও গাঁধীমোড় থেকেই মহাত্মা গাঁধী রোড ধরে নেয়।
মিছিলের সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের বড় বাহিনীও চলে আসে। পুলিশের আশ্বাসে মিনিট ১৫ পরে অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিজেপি নেতারা। এর পরেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। দলের নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের মদতে দার্জিলিংয়ে এমন আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’’ যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্য দিকে, আসানসোলেও বিক্ষোভ মিছিল ও জিটি রোড অবরোধের কর্মসূচি পালন করে বিজেপি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটি। এ দিন সকালে দলের জেলা সভাপতি তাপস রায়ের নেতৃত্বে কয়েকশো সমর্থক প্রথমে আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে মিছিলটি আসানসোল পুরসভার সামনে উপস্থিত হয়ে জিটি রোড অবরোধ শুরু করে। প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলে। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপি-র জেলা সভাপতি তাপস রায় বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না।’’ এই প্রেক্ষিতে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা হামলার রাজনীতি করি না। বিজেপি-র আট জন কাউন্সিলরের মধ্যে পাঁচ জনই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই রাজনীতি চলতে থাকলে বাকিরাও তৃণমূলে চলে আসবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy