চেপ্টে যাওয়া গাড়ি থেকে যাত্রীদের বার করার চেষ্টা চলছে তখন।
ফের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। ইটবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হল যাত্রীবোঝাই গাড়ির। তার জেরে নয়ানজুলিতে গাড়িটির উপরে উল্টে পড়ল ট্রাকটি। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়িটির ভিতরে পিষে গিয়েছেন যাত্রীরা। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনও সরকারি ভাবে জানানো হয়নি।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানা এলাকায়। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ দেগঙ্গার উত্তর কাউকেপাড়ায় বেড়াচাঁপা-বাদুড়িয়া সড়কে ইটবোঝাই ট্রাকটির সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গাড়িটিতে ৭-৮ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সংঘর্ষের জেরে প্রথমে গাড়িটি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। তার উপরে উল্টে পড়ে ট্রাকটি।
ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি দেখেই আশপাশের লোকজন ছুটে যান নয়ানজুলির ধারে। কিন্তু এমন ভাবেই ইটবোঝাই ট্রাকের তলায় চাপা পড়েছিল গাড়িটি যে, সেটির যাত্রীদের সহজে উদ্ধার করার কোনও উপায়ই ছিল না। স্থানীয় লোকজনই পার্শ্ববর্তী একটি ইটভাটা থেকে দু’টি জেসিবি আনিয়ে প্রথমে ট্রাকটিকে তোলার ব্যবস্থা করেন। তার পর চেপ্টে যাওয়া গাড়িটি থেকে যাত্রীদের বার করে আনা শুরু হয়।
আরও পড়ুন:
জলাজমিতে রক্তাক্ত দেহ তৃণমূল নেতার
জুলুমের অভিযোগে পথে বসলেন পুণ্যার্থীরা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির সব যাত্রীই সাংঘাতিক ভাবে জখম ছিলেন। অধিকাংশই অচেতন ছিলেন। তাঁদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী একটি নার্সিং হোমে। সেখান থেকে বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু এতটাই গুরুতর ছিল পরিস্থিতি যে, তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বারসতের জেলা হাসপাতালে।
নয়ানজুলিতে উল্টে গিয়েছে ইটবোঝাই ট্রাক। তখনও
তলায় চাপা পড়ে রয়েছে যাত্রীবোঝাই গাড়ি।
গাড়িটি যে ভাবে চাপা পড়েছিল এবং যে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে যাত্রীদের, তাতে অধিকাংশেরই বাঁচার আশা কম বলে স্থানীয় লোকজনের আশঙ্কা। তবে হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও কিছু জানায়নি।
দুর্ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেই এলাকায় রাস্তার দু’ধার খুব জনবহুল নয় বলে অধিকাংশ গাড়িই সেখানে বেপরোয়া গতিতে ছোটে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। বেড়াচাঁপা-বাদুড়িয়া সড়কের ওই অংশে যান নিয়ন্ত্রণ করা এবং রাস্তায় গার্ড রেল বসিয়ে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে এলাকাবাসীর দাবি।
ছবি: সীমান্ত মৈত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy