Advertisement
০৫ মে ২০২৪
turmoil

অশান্ত কাঁচড়াপাড়া, জয় শ্রীরাম ধ্বনির মধ্যেই পুলিশি পাহারায় এলাকা ছাড়লেন জ্যোতিপ্রিয়

আগামী ১৪ জুন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁচড়াপাড়ায় সভা করবেন। সেই সভারই প্রস্তুতি বৈঠকে শনিবার কাঁচড়াপাড়া এসেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। শনিবার, কাঁচড়াপাড়ায়।

বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। শনিবার, কাঁচড়াপাড়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৯ ১৫:৪১
Share: Save:

জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্ক যেন কিছুতেই তৃণমূলের পিছু ছাড়ছে না। মেদিনীপুরের পর বৃহস্পতিবার নৈহাটি-ভাটপাড়ায় জয় শ্রীরাম স্লোগানে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই কাঁচড়াপাড়াতেই রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয় ঘিরেও উঠল জয় শ্রীরাম স্লোগান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বিশাল পুলিশ বাহিনীর ঘোরাটোপে এলাকা ছাড়েন জ্যোতিপ্রিয়।

আগামী ১৪ জুন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁচড়াপাড়ায় সভা করবেন। তৃণমূল নেত্রী আলোরানি সরকারের বাড়িতে ওই সভার প্রস্তুতি বৈঠকে শনিবার কাঁচড়াপাড়া এসেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছিলেন সম্প্রতি তৈরি হওয়া তৃণমূলের বিশেষ ড্যামেজ কন্ট্রোল কমিটির সদস্য তাপস রায়, সুজিত বসুও। ওই এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস বিজেপির দখলে চলে যাওয়া নিয়েও আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। এ দিন এক দিকে যখন বৈঠক চলছিল, তখন কাঁচড়াপাড়ার গাঁধী মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির দাবি, জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতেই পুলিশ তাঁদের উপর হামলা করে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।

বিজেপির আরও দাবি, নৈহাটির সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তাঁকে ‘ছোট গদ্দার’ বলা হয় বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে শুভ্রাংশু রায়ের কার্যালয় দখলের অভিযোগও ওঠে। এরই প্রতিবাদে এ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে বিজেপি। সেই সমাবেশ পুলিশ জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ওঠে লাঠিচার্জের অভিযোগও। বিজেপির দাবি, যে পার্টি অফিস তৃণমূল নিজেদের দাবি করছে তা শুভ্রাংশু রায়ের নামে। ইলেক্টিক বিলও আসে শুভ্রাংশুর নামে।

আরও পড়ুন: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উদ্ধার ব্যাগবন্দি সিংহশাবক, লাঙ্গুর, গ্রেফতার ৩

মন্ত্রক বণ্টনেও ব্রাত্য বাংলা

ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পুলিশ বিজেপি সমর্থকদের সরাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায়। জ্যোতিপ্রিয়র কনভয় গাঁধী মোড়ে পৌঁছতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “অসভ্য এবং বর্বর মানুষ। ওঁরা যত খুশি বিক্ষোভ দেখাক। মুকুল-শুভ্রাংশ এখানে বিজেপি হয়েছে। প্রকৃত যাঁরা বিজেপি তাঁরা পালিয়ে গিয়েছে। গদ্দার গদ্দারই থাকবে। ১৪ তারিখে দলনেত্রীর উপস্থিতিতে কর্মী সভা হবে। তারই প্রস্তুতি বৈঠক ছিল আজ।”

শুভ্রাংশুকে কটাক্ষ করে জ্যোতিপ্রিয় এ দিন বলেন, “শুভ্রাংশু বাচ্চা ছেলে তো। বাবা ছেলেকে এগিয়ে দিচ্ছে। ও এখনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে না।’’ ঘটানস্থলে ছিলেন সুজিত বসুও। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ছিল। থাকবে। কেউ যদি মনে করে এ ভাবে চলবে। তা হবে না। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE