—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP
বাংলা বনাম মণিপুর!
নারী নির্যাতনের অভিযোগকে সামনে রেখে বিধানসভার ভিতরে-বাইরে এই রকম মুখোমুখি অবস্থানেই এসে দাঁড়িয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় একের পর নারী নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনে আলোচনা চেয়েছিল বিজেপি। অনুমতি না পেয়ে বুধবার বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধী দলের বিধায়কেরা। বাইরেও একই বিষয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছে তারা। একই দিনে শাসক তৃণমূলের মহিলা সংগঠন পথে নেমেছে মণিপুরের ঘটনার প্রতিবাদে। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার জন্য প্রস্তাবও আনতে চলেছে সরকার পক্ষ। যে আলোচনা হওয়ার কথা আগামী ৩১ জুলাই।
রাজ্যে লাগাতার ‘নারী নির্যাতন’ ও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারীদের উপরে ‘অত্যাচারে’র ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে এ দিন থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। বিধানসভায় হইচইয়ের পরে এ দিন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, মালতী রাভা রায়, বঙ্কিম ঘোষ, নীলাদ্রি শেখর দানা, অম্বিকা রায়েরা ওই ধর্নায় ছিলেন। মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। উনি একা বাংলার মেয়ে? আর মালদহ, কোচবিহারের মেয়েরা বাংলার মেয়ে নয়!’’ তিনি জানান, এর পরে উত্তরবঙ্গেও একই ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি থেকে ফিরে রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে বলেন, “বিজেপি রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন নিয়ে চিন্তিত। আমরা বিধানসভার অভ্যন্তরে, বিধানসভার বাইরে এই নিয়ে লড়াই করব।”
নারী নিগ্রহ নিয়ে বিজেপির আক্রমণের জবাবে জাতীয় মহিলা কমিশনের তথ্য তুলে ধরেছে তৃণমূল। তারা দাবি করেছে, ‘২০২৩ সালে দেশে এই ধরনের ১৬ হাজার ৩৭০টি অভিযোগের ৯ হাজার ৪৫টিই বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশের। বাংলায় অভিযোগ ৩৪২টি। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশেই ঘটেছে ৬৮%। আর বাংলায় মাত্র ২%।’
বিধানসভায় প্রস্তাব ও আলোচনার প্রসঙ্গ এনে সরকার পক্ষের উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায় বলেছেন, ‘‘নির্লজ্জ রাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে মণিপুর নিয়ে বিজেপির ভূমিকা দেশ মনে রাখবে! আর এখানে কোথাও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা ঘটলে রাজ্য পুলিশ, প্রশাসন চোখ বন্ধ করে বসে থাকে না। ’’ মণিপুরের ঘটনা নিয়ে দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ দলের নেত্রী ও জনপ্রতিনিধিরা মাথায় জাতীয় পতাকা জড়িয়ে মিছিল করেন। আগামী দু’দিন দলের ছাত্র সংগঠনও এই কর্মসূচি নিয়েছে। মণিপুর নিয়ে পৃথক ভাবে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেস এবং কলকাতা জেলা সিপিআইও। কংগ্রেসের সভায় ছিলেন কৃষ্ণা দেবনাথ, সুব্রতা দত্ত, রানা রায়চৌধুরী, সুমন রায়চৌধুরী, প্রীতম ঘোষেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy