Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
arrest

হ্যাক করে ট্যাবের টাকা আত্মসাৎ, হাজতে দু’জন

প্রতারণা হয়েছে রীতিমতো সাইবার অপরাধের রাস্তায়। এই প্রকল্পে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ট্যাব প্রাপক ছাত্রছাত্রীদের নাম-পরিচয় ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর নথিভুক্ত করতে হয়।

এই ঘটনায় সরকার নিয়ন্ত্রিত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের অফিসের কিছু কর্মী জড়িত বলেও পুলিশের সন্দেহ।

এই ঘটনায় সরকার নিয়ন্ত্রিত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের অফিসের কিছু কর্মী জড়িত বলেও পুলিশের সন্দেহ। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৪
Share: Save:

দু’দফায় অনেকের ট্যাবের টাকা নেওয়ার অভিযোগের পরে এ বার উঠল ট্যাবের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। শুক্রবার পর্যন্ত এই নিয়ে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম স্বপ্ন-প্রকল্প ‘তরুণের স্বপ্ন’-এ ট্যাব কেনার জন্য স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেই প্রকল্পেরও ট্যাবের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এই ঘটনায় সরকার নিয়ন্ত্রিত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের অফিসের কিছু কর্মী জড়িত বলেও পুলিশের সন্দেহ।

প্রতারণা হয়েছে রীতিমতো সাইবার অপরাধের রাস্তায়। এই প্রকল্পে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ট্যাব প্রাপক ছাত্রছাত্রীদের নাম-পরিচয় ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর নথিভুক্ত করতে হয়। অভিযোগ, হ্যাক করে পোর্টালে ঢুকে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে কাইজ়ার আলম ও হানিফুল ইসলাম নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় এনে শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু’জনকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

উত্তর কলকাতার একটি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ডিসেম্বরে এই প্রতারণার অভিযোগ করেন। তাদের অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে ওই স্কুলের কয়েক জন পড়ুয়া মোবাইলে বার্তা পায়। কিন্তু দেখা যায়, ওই সব অ্যাকাউন্ট নম্বর তাদের নয়। ওই সব শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢোকেনি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেই সব টাকা ঢুকেছে চোপড়ার বাসিন্দা কাইজ়ার ও হানিফুলের অ্যাকাউন্টে। তার পরেই ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম থানা।

পুলিশি সূত্রের খবর, আইপি অ্যাড্রেসের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের কেউ ওই সব অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দিয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে প্রচুর ঠিকা কর্মী আছেন। তাঁদের কেউ কেউ এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।

কাইজ়ার ও হানিফুলের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকাও কাইজ়ার-হানিফুলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তদন্তকারীদের দাবি, জেরার মুখে কাইজ়ার ও হানিফুল জানিয়েছে, কমিশন দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিতে বলেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arrest money tablets
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE