নাজিমুল শেখ। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
যুব তৃণমূল নেতা নাজিমুল সেখ খুনের ঘটনায় নাম জড়াল দুই কংগ্রেস নেতার। মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কংগ্রেসের শিলাদিত্য হালদার ও কংগ্রেসের তপশিলি জাতি উপজাতি সেলের সভাপতি তথা বহরমপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলর হিরু হালদার-সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার বহরমপুর থানার পুলিশ খুনের মামলা শুরু করেছে। খুনের পর মৃতের পরিবারের লোকজন মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের রাজীব হোসেনের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন। কিন্তু অভিযোগেও তাঁর নাম নেই।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘শিলাদিত্য হালদার, হিরু হালদারসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অন্যদিকে বুধবার সকালে জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নাজিমুল সেখের বাড়িতে যান। মৃতের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন। পরে এদিন দুপুরে ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন তাঁদের বাড়িতে যান। বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতা শিলাদিত্য হালদার, হিরু হালদারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল। এর থেকে ঘৃণ্য কাজ অন্য কিছু হতে পারেনা। আমাকে হারানোর জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এমন ঘৃণ্য কাজও করতে পারলেন! মুর্শিদাবাদের মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।’’
২০১৭ সালের ১১ মে বহরমপুরের তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতা আসাদুল সেখ খুনের নাম জড়িয়েছিল শিলাদিত্যের। ঘটনার পরে দিন গ্রেফতার হয়ে গত বছর অক্টোবর মাসে জামিন পেয়েছিলেন শিলাদিত্য। গত ২৪ জানুয়ারি বেকসুর খালাস পান। এর মধ্যে গত সোমবার যুব তৃণমূলের নেতা নাজিমুল শেখ খুন হন দুষ্কৃতীদের গুলিতে। ঘটনার দিন মৃতের পরিবার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। মৃতের স্ত্রী গোলচেহারা বিবি বলেন, ‘‘যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy