বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। দু’জনেই নাগরাকাটার বাসিন্দা। ধৃতদের এক জনের নাম সাহানুর আলম ওরফে মান্নান। অপর জনের নাম তোফায়েল হোসেন ওরফে মিলন। প্রথম জনের বয়স ৩০। দ্বিতীয় জনের বয়স ৩৬।
খগেন এবং শঙ্করের উপর হামলার ঘটনায় বুধবার নাগরাকাটা থেকেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট চার অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ। তবে ধৃতেরা কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি পুলিশ।
সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন এবং শিলিগুড়ির পদ্ম বিধায়ক শঙ্কর। অভিযোগ, লাঠি, জুতো নিয়ে খগেন এবং শঙ্করের উপর চড়াও হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। নদী থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তাতেই মুখে আঘাত পান খগেন। বাঁ চোখের নীচে আঘাত লাগে তাঁর। সেখান থেকে গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। ধাক্কা দেওয়া হয় শঙ্করকেও। তাঁরও হাতে চোট লাগে। দু’জনকেই পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার শঙ্কর ছাড়া পেলেও খগেন এখনও চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। প্রত্যাশিত ভাবেই শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছে পদ্মশিবির। তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার তো করেইছে, পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা করে তারা জানিয়েছে যে, এই ধরনের বিক্ষোভকে তারা মোটেই সমর্থন করে না। ঘটনার পরের দিন হাসপাতালে গিয়ে খগেনকে দেখে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।