বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে অচলাবস্থা বজায় থাকায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘অসন্তুষ্ট’। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় এক নির্দেশে জানিয়েছে, দ্রুত নিয়োগের কাজ শুরু করতে। তার পরেই বিশ্বভারতীর কাছ থেকে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির জন্য দু’টি নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কমিটিতে রাষ্ট্রপতির এক জন প্রতিনিধিও থাকবেন দেশে একমাত্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েরই আচার্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। অভিযোগ, এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের শাসক দলের এমন উপেক্ষার শিকার যে আড়াই বছর ধরে স্থায়ী উপাচার্য নেই। সম্প্রতি পুরনো প্যানেল নাকচ করে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের শুরুর অনুমতি চায় সরকার। রাষ্ট্রপতি তা মঞ্জুরও করেছেন। তবে তাঁর তরফে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগে জটিলতা কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের আশঙ্কা, তৃণমূল সংসদে বিষয়টি নিয়ে হইচই করলে সরকার অস্বস্তিতে পড়বে।
এখন যা পরিস্থিতি, তাতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সারতে ৪-৬ মাস লেগে যাবে। কিন্তু সমস্যা হল, বিশ্বভারতীর প্রবীণতম ডিরেক্টর হিসাবে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য সবুজকলি সেনের আগামী শনিবারই ডিরেক্টর পদে শেষ দিন। কেন্দ্র মেয়াদ না বাড়ালে তিনি তার মধ্যেই দায়িত্ব হস্তান্তর করে দেবেন বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন। এর পরে যিনি সিনিয়র, সেই দর্শন বিভাগের অধ্যক্ষ আশা মুখোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হবে ১৮ মার্চ। তার পরের সিনিয়র, কলা বিভাগের গৌতম দাশের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ জুলাই। গৌতমবাবুর পরে রয়েছেন সঙ্গীত ভবনের নিখিলেশ চৌধুরী। তাঁর মেয়াদ অবশ্য এক বছর রয়েছে। মন্ত্রকের এক অংশ চাইছে, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সবুজকলিই দায়িত্ব সামলান। মন্ত্রক সূত্রের খবর, শীঘ্রই সবুজকলির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy