মেয়ে ফিরল, বাবা ফিরল না।
দু’জনেরই একই দিনে জ্বর এসেছিল। একই সঙ্গে ভর্তি হন হাসপাতালে। মঙ্গলবার মেয়ে ফিরেছেন সুস্থ অবস্থায়। আর ফিরেছে বাবার দেহ। বনগাঁ শহরের ট বাজারের বাসিন্দা স্বপনকুমার কুণ্ডু (৫৩) ও তাঁর মেয়ে মিঠু পালের জ্বর এসেছিল বৃহস্পতিবার। দু’জনকেই ভর্তি করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। স্বপনবাবুকে সোমবার রাতে পাঠানো হয় রাজাবাজারের একটি নার্সিংহোমে। মঙ্গলবার সকালে মারা যান তিনি।
পরিবার সূত্রের খবর, সোমবার চিকিৎসকেরা স্বপনবাবুকে ‘রেফার’ করলেও এনআরএসে-র আইসিসিইউতে জায়গা মেলেনি। তিনটি নার্সিংহোম, একটি সরকারি হাসপাতালে ঘুরে রাজাবাজারের ওই নার্সিংহোমে ঠাঁই হয় স্বপনবাবুর। তাঁর ভাই কানাইবাবু বলেন, ‘‘দাদার মৃত্যুর শংসাপত্রে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর লেখা হয়েছে। চিকিৎসককে আমরা বলি, দাদার তো ডেঙ্গি ছিল। চিকিৎসক লিখতে রাজি হননি।’’ মঙ্গলবার দুপুরে স্বপনবাবুর মেয়ে মিঠু হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। বাবার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন হাবরার বাসিন্দা ওই তরুণী। জানালেন, দাদুর মৃত্যুর পরে মাসখানেক আগে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানেই জ্বরে পড়েন।