শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক অরুন্ধতী মৈত্র (লাভলি) মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এক্স হ্যান্ড্লে সুকান্ত রবিবার দাবি করেছেন, নানা জায়গায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন লাভলি। সুকান্তের ‘প্রতিমন্ত্রিত্বে’র পদ নিয়ে কটাক্ষ করে লাভলি পাল্টা দাবি করেছেন, তিনি কোনও মিথ্যাচার করেননি।
সুকান্ত এ দিন এক্স হ্যান্ডলে দাবি করেছেন, সরকারি নথি অনুযায়ী বিধায়ক নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। আবার বিধায়কের নির্বাচনী প্রচার পুস্তিকায় বলা হয়েছে, তিনি সেন্ট পলস কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও দাবি, বিধানসভার সদস্য পরিচিতি পুস্তকে কলেজের নাম বদলে হয়েছে গোয়েঙ্কা কলেজ, আবার বিধানসভার ‘অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে’ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গা ফাঁকা রাখা! নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বিভিন্ন ছবিও পোস্ট করেছেন সুকান্ত। এই পরিস্থিতিতেই সুকান্তের বক্তব্য, ‘সহজেই অনুমেয়, যে রাজ্যে এক জন তৃণমূল বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কারচুপি করা হয়, সেই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে শিক্ষার মানের অবক্ষয় কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে! আর শিক্ষা-ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রশ্নে তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই!’
যদিও সুকান্তের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা সরব হয়েছেন লাভলি। তাঁর দাবি, “সেন্ট পলস কলেজে পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। অভিনয়ের কারণে শেষ করতে পারিনি। পরে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হই। সরকারি নথিতে সেটাই উল্লেখ করেছি। কোথাও মিথ্যাচার করিনি। বাকি কোথায় কী ছাপা হয়েছে, তার দায় আমার নয়।” সুকান্তকে ‘হাফ প্যান্ট মন্ত্রী’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
এ দিকে, তাঁর ‘বিকৃত ও ভুয়ো ছবি’ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নিলম্বিত (সাসপেন্ড) নেত্রী, সোনারপুরের বাসিন্দা রাজন্যা হালদার। এই প্রসঙ্গেও এ দিন কটাক্ষ করেছেন লাভলি। তাঁর বক্তব্য, “দু’বছর আগে ওই ঘটনা ঘটে থাকলে, এত দিন পরে পুলিশের কাছে কেন? সবাই সব কিছু বুঝতে পারছেন। চার আনার পুঁইশাকের আবার জিএসটি!”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)