ছবি: সংগৃহীত।
নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপরতা চলছে। কিন্তু প্রতি বছরই বিশেষ বিশেষ কলেজে পড়ুয়ার ভিড় বাড়ছে। আবার অনেক কলেজে বহু আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। তাতে কলেজের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে। এই অবস্থায় কলেজগুলি জেনারেল ও অনার্স পাঠ্যক্রমে কত আসন বাড়াতে পারবে, তা নির্দিষ্ট করে দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানান, জেনারেল কোর্সে কলেজগুলি ১৫ শতাংশের বেশি আসন বাড়াতে পারবে না। অনার্সের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের বেশি আসন বাড়ানো যাবে না। এ দিন সিন্ডিকেটের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, অনার্সে কত আসন আছে, কলেজগুলি এত দিন শুধু সেটাই জানাত বিশ্ববিদ্যালয়কে। এ বার জেনারেল কোর্সে কলেজে কত আসন আছে, তা-ও জানাতে হবে।
কলকাতা এবং অন্য কয়েকটি জায়গার বিভিন্ন কলেজের কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছেন, এ বার তাঁরা স্নাতক স্তরে আসন কমাতে চান। কারণ স্নাতকে ভর্তির জন্য যত আসন আছে, তত চাহিদা নেই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
উপাচার্য জানান, অনেক ক্ষেত্রে আসন পূরণ হচ্ছে না। ফলে আখেরে কলেজেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আসন কমানোর পিছনে কলেজগুলি বিভিন্ন মূল্যায়নের বিষয়ও মাথায় রাখছে। কারণ, কোন বিষয়ে কত আসন রয়েছে এবং তার ক’টি খালি রয়েছে, তার উপরে ‘নাক’-সহ বিভিন্ন সংস্থার মূল্যায়ন নির্ভর করে। উপাচার্যের মতে, ‘‘এত আসন বাড়ানো যে উচিত হয়নি, দেরিতে হলেও কলেজগুলো এ বার সেটা বুঝতে পেরেছে।’’
সিন্ডিকেট এ বার কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোটাই অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান উপাচার্য। ফলে আর ভর্তির জন্য সশরীরে কলেজে যাওয়ার দরকার নেই। আবেদন, ভেরিফিকেশন, অনলাইনে ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন— সবই হবে অনলাইনে। পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে হওয়ায় টাকা নিয়ে ভর্তির যে-সব অভিযোগ ওঠে, তা আর উঠবে না বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের।
২৭ মে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ১০ জুনের মধ্যে প্রতিটি কলেজকে মেধা-তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে ১২ জুন। ৬ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা চাই। কলেজগুলিতে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ক্লাস শুরু করে দিতে হবে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলেজে সিমেস্টার সিস্টেম চালু হয়েছে। তাই ক্লাস শুরু করতে যাতে কোনও ভাবেই দেরি না-হয়, সেই জন্য সব কলেজেরই কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy