সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের হাতে ‘নিয়োগ-দুর্নীতির’ মামলায় উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য গ্রেফতার হতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘনিয়ে এল অনিশ্চয়তার ছায়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা, ভর্তি প্রক্রিয়া, পরীক্ষার ফল প্রকাশ, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের কী হবে— সে সবই ছায়া ঘনানোর কারণ।
কর্তৃপক্ষের একাংশের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজে উপাচার্যের সম্মতি, তাঁর সই লাগে। তিনি কলকাতায় যাওয়ার পরে, তাঁর সম্মতিতে রেজিস্ট্রার বা যুগ্ম রেজিস্ট্রার নথিপত্রে সই করে কাজ চালাচ্ছিলেন। এখন তা-ও আর সম্ভব নয়। ফলে, বিভিন্ন কাজকর্ম এই পরিস্থিতিতে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স কমিটির বৈঠক উপাচার্যকে ছাড়া করা যায় না। স্নাতকোত্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে। সে সবও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। রেজিস্ট্রার প্রণবকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, কোথায়, কী সমস্যা হতে পারে দেখা হচ্ছে।’’
এর মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ‘অ্যানেক্স বিল্ডিং’ তথা কন্ট্রোলার বিভাগের পিছনের অংশে কর্মীরা কিছু পরিত্যক্ত কাগজ পোড়ান বলে অভিযোগ। তার ভিডিয়ো রেকর্ডিং (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামাজিক মাধ্যমে ‘পোস্ট’ করলে হইচই পড়ে। সুকান্ত প্রশ্ন তোলেন, এই ভাবে কোনও দুর্নীতি চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে না তো? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেন, পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগে যে ‘এজেন্সি’ কাজ করে, সেখানকার কর্মীরা কাগজ পুড়িয়েছেন। তাতে মার্কশিটের মতো নথিও রয়েছে। তবে ওই কর্মীদের একাংশের দাবি, ‘‘মেধা তালিকা প্রকাশের কাজ চলছে। সে কাজের যে সমস্ত কাগজপত্র বর্জ্য হিসাবে ফেলা হয়, সেগুলো পোড়ানো হচ্ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy