E-Paper

২৫ দিনে শেষ করতে হবে ১০০টি টেরাকোটার ম্যুরাল, রামমন্দিরের জন্য ঘুম উড়েছে কৃষ্ণনগরের বিশ্বজিতের

অযোধ্যার রামমন্দিরের প্রবেশপথে বসানো হচ্ছে হচ্ছে রামায়ণে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনার ২০০টি ম্যুরাল। যেগুলি তৈরি হচ্ছে পাথর, সিমেন্ট, সেরামিক টাইল, ফাইবার ও পোড়ামাটি দিয়ে।

সুদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:২৮
অযোধ্যায় রামমন্দিরে জন্য টেরাকোটার নকশা। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

অযোধ্যায় রামমন্দিরে জন্য টেরাকোটার নকশা। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

মাঝে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। এর মধ্যেই শেষ করতে হবে কাজ। আর তাই ঘুম ছুটেছে কৃষ্ণনগরের টেরাকোটা শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদারের। কারণ, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ অযোধ্যা রামমন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে। সেই মন্দিরের প্রবেশপথে দেখা যাবে তাঁর হাতের নানা শিল্পকর্ম।

সূত্রের খবর, অযোধ্যার রামমন্দিরের প্রবেশপথে বসানো হচ্ছে হচ্ছে রামায়ণে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনার ২০০টি ম্যুরাল। যেগুলি তৈরি হচ্ছে পাথর, সিমেন্ট, সেরামিক টাইল, ফাইবার ও পোড়ামাটি দিয়ে। এর মধ্যে ১০০টি ম্যুরাল টেরাকোটার তৈরি। সেই কাজটিই করছেন কৃষ্ণনগরের শিল্পী বিশ্বজিৎ। কাজের তদারকি করার জন্যই গত কয়েক মাস ধরে তাঁকে অযোধ্যা আর কৃষ্ণনগরের মধ্যে ছুটে বেড়াতে হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মাটির কাজ থেকে পোড়ানোর কাজ পর্যন্ত হচ্ছে কৃষ্ণনগরের বেলেডাঙায় বিশ্বজিতের স্টুডিয়োয়। তার পরে সেগুলি টুকরো আকারে চলে যাচ্ছে অযোধ্যায়। সেখানে রামমন্দিরের প্রবেশপথ, যার নাম দেওয়া হয়েছে ধর্মপথ, তার দু’ধারে বসানো হচ্ছে এই কাজ। এই কাজে বিশ্বজিৎকে সাহায্য করছেন ২৭ জন সহযোগী শিল্পী।

অযোধ্যার এই কাজের বরাত কী ভাবে পেলেন? শিল্পীর কথায়, ‘‘অযোধ্যা সরকারি সংগ্রহশালায় আমার হাতের টেরাকোটার কিছু শিল্পকর্ম আগে থেকেই রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেই শিল্পকর্মের জন্যে আমাকে সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁরা চেয়েছিলেন, আমার কাজ রামমন্দিরেও ব্যবহার করা হোক।’’ বিশ্বজিৎ জানান, গত অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে তাঁর এই টেরাকোটার ম্যুরাল তৈরির প্রাথমিক পর্বের কাজ। এ জন্য তাঁর কাছে পাঠানো হয় রামায়ণের বিভিন্ন পর্বের মূল ঘটনাগুলি ছবি। সেগুলিকে অবলম্বন করেই তৈরি হচ্ছে প্রতিটি ম্যুরাল। এক একটি ম্যুরাল-এর মাপ ২০ ফুট বাই ১০ ফুট।

কাজ করতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি? বিশ্বজিৎ জানাচ্ছেন, সমস্যা বলতে মাঝে কয়েক দিন নিম্নচাপের কারণে টেরাকোটা পোড়ানোর কাজ থমকে গিয়েছিল। তাতে কাজ অনেকটাই পিছিয়ে যায় এক ধাক্কায়। তাই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করাটাই এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ শিল্পীর কাছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ram Temple Ayodhya

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy