চলছে মেলার মাঠ পরিস্কারের কাজ। নিজস্ব চিত্র
পৌষমেলার মাঠ সাফাইয়ে নামলেন উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-কর্মীরা।
চারদিনের পৌষ মেলা শেষের পর ও মেলায় দোকান উঠানোর জন্য আরো ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর সোমবার সকালে মাঠ সাফাইয়ে নামেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়, বিশ্বভারতীর আধিকারিক, বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক এক্স সার্ভিস ম্যানের দল। চার দিনের পৌষ মেলা শেষে মেলা মাঠের চারিদিক আবর্জনায় ভরে উঠতে দেখা গিয়েছিল। মেলার মাঠের এমন কোনও জায়গা ছিল না, যেখানে প্লাস্টিক থেকে শুরু করে কাগজের ঠোঙা পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। মেলা কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, মেলার চারদিন যতটা না আবর্জনা হয়েছে তার থেকে মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে দু’দিন মেলায় বেচাকেনা হয়েছে তাতে সব থেকে বেশি আবর্জনায় ভরে উঠেছে মাঠ।
এ দিন উপাচার্য সহ আধিকারিক কর্মী ও অধ্যাপক, পড়ুয়াদের মেলার মাঠের বিভিন্ন প্রান্তের আবর্জনা সাফ করতে দেখা যায়। তবে এ দিন দীর্ঘক্ষণ মেলার মাঠের আবর্জনা সাফ করা হলেও এখনও পর্যন্ত পুরো মেলার মাঠটি সাফ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই মঙ্গলবারও একইভাবে মেলার মাঠে এই সাফাই অভিযান চলবে বলে বিশ্বভারতী সূত্রের খবর।
অতীতে মেলা শেষ হওয়ার পরেও মাঠের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকত। সেগুলি নিয়ম মেনে সাফ করা হত না। যদিও পরে বাইরের লোক ভাড়া করে বা কোনও সংস্থার মাধ্যমে তা সাফ করা হতো। পরিবেশ আদালতেও এ নিয়ে মামলা হয়েছে। এ বছরই প্রথম মেলা মাঠ সাফাইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর উপাচার্য থেকে শুরু করে পড়ুয়াদেরও শামিল হতে দেখা গেল। উপাচার্যের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy