প্রতীকী ছবি।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে গঙ্গাসাগর মেলায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা আদায়, তাঁকে খুনের হুমকি এবং তাঁর ফুড কোর্ট ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। হরিপদ মণ্ডল নামে ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে গঙ্গাসাগর ও বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের তরফে এই বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ, ই-টেন্ডারের মাধ্যমে গঙ্গাসাগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ন’লক্ষ টাকায় পাঁচ বছরের জন্য একটি ‘ফুড কোর্ট’ লিজ নিয়েছিলেন সোমনাথ মাইতি নামে স্থানীয় কমলপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার ওই ফুড কোর্ট চালু করেন তিনি। সে-দিন সন্ধ্যার পরেই সোমনাথবাবুর কাছে হরিপদবাবুর ফোন আসে। দোকান চালু করার আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হবে বলে জানান উপপ্রধান। দেখা না-করলে ফুড কোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে শাসানো হয়।
সোমনাথবাবু বলেন, ‘‘শরীর খারাপ বলে রাতে আমি দেখা করতে যাইনি। গভীর রাতে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে আমার ফুড কোর্টে হামলা চালায়। সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সমস্ত আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় কেয়ারটেকারকে। রাতে পুলিশ এসে এক জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।’’ সোমনাথবাবুর আশঙ্কা, তাঁকে কোনও মতেই ওই ফুড কোর্ট চালাতে দেওয়া হবে না। তাই তাঁকে সমানে খুন করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ‘‘প্রথমে আমার কাছে টাকা চাওয়া হয়। তা না-দেওয়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শাসানি দেওয়া হচ্ছে। আমি গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় ওই ফুড কোর্ট নিয়েছি। সে-ক্ষেত্রে উপপ্রধানকে টাকা দেওয়ার প্রশ্ন নেই,’’ বলেন সোমনাথবাবু।
আরও পড়ুন: সিএএ বিপদ, শিবপুরে বার্তা সব অভিভাবককে
গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকেরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তার পরেই পর্ষদের তরফে সোমনাথবাবু ও হরিপদবাবুর ফোনে কথোপকথনের রেকর্ডিং এবং সিসি ক্যামেরায় ভাঙচুরের ফুটেজ-সহ অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশ ও জেলাশাসকের কাছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশকে খোঁজ নিয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করতে বলেছি।’’
শুক্রবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে হরিপদবাবু বলেন, ‘‘এই ধরনের কোনও অভিযোগের বিষয়ে আমার বিন্দুবিসর্গ জানা নেই। আদালত আছে। সেখানে বিচার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy