Advertisement
E-Paper

নেতাদের মদতেই বাড় কেদারের, বলছেন গ্রামবাসী

বাসিন্দাদের প্রশ্ন, আগেও কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এরা। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক নেতার হাত মাথায় থাকায় ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। এ বারও তেমনটা হবে না তো? 

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯ ০১:২৭
কেদার সর্দার

কেদার সর্দার

সন্দেশখালিতে ভিলেজ পুলিশ খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে মূল অভিযুক্ত-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হল।

ঘটনার রাতেই গ্রেফতার হয়েছিল কেদার ও লাল্টু সর্দার। তাদের জেরা করে এক দিন পরে পুলিশ হাসনাবাদ থেকে গ্রেফতার করে রাজু সর্দারকে। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ভিনরাজ্যে পালানোর ছক কষেছে বিধান সর্দার ও মটুক সর্দার। সে জন্য কলকাতা গিয়েছে তারা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে চিৎপুর থেকে ধরে ওই দু’জনকে। বুধবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

এলাকার ত্রাস কেদার ও তার চার সাগরেদ গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সন্দেশখালির গ্রামে। কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন, আগেও কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এরা। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক নেতার হাত মাথায় থাকায় ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। এ বারও তেমনটা হবে না তো?

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত খুলনা, বৌঠাকুরানি, ভান্ডারখালি, শীতলিয়া-সহ আশপাশের গ্রামে গন্ডগোল হলেই কেদার বাহিনীর নাম সামনে আসতে শুরু করে। স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হওয়ার পর থেকে কেদারের দাপট আরও বেড়েছিল। ব্যবসায়ীর কাছে থেকে তোলা আদায়, গরু পাচার, মারধর, মহিলাদের কটূক্তি— নানা ঘটনায় তার নাম জড়ায়। এত দিন কেদারের দাপটে লোকজন মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। এখন অনেকে গলার স্বর উঁচু করছেন। তপন মণ্ডল, পরিমল বিশ্বাসরা বলেন, ‘‘ক’দিন আগে খুলনা বাজারে এক মহিলার কপালে সিঁদুর দিয়ে কেদার বলেছিল, আমি তোকে বিয়ে করলাম। ভাইফোঁটার রাতে শক্তিরঞ্জন পড়ুয়ার দোকানে ওর দলবল লুটপাট চালায়। বিরোধী দল করায় কালীকিঙ্কর সর্দারের বাড়িতে ভাঙচুর করে।’’ রূপলেখা মান্না, পরীক্ষিত দাস, দেবপ্রসাদ সর্দার, গোপাল পাত্রদের কথায়, ‘‘আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুট করে কেদাররা। বাম জমানায় নেতাদের ছত্রচ্ছয়ায় ছিল কেদার। এখন তৃণমূলের একাংশের মদতে ওর এত বাড়বাড়ন্ত।’’ খোকন মণ্ডল, সারথি মাইতি, পরান মণ্ডলদের কথায়, ‘‘ইদানীং গ্রামীণ অনুষ্ঠান, মেলা, খেলা হলেও তোলা দিতে হত কেদারকে। সব দেখে শুনেও নেতারা চুপ করে থাকতেন।’’

Murder Crime Village Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy