গ্রামে পুলিশ ঢুকছে। কথাটা সবাইকে জানাতে ঘরে ঘরে বেজে উঠত শাঁখ। শঙ্খধ্বনিতে সতর্ক হতেন গ্রামবাসী। গ্রামের রাস্তায় পুলিশের গাড়ি ঢুকতেই হত প্রতিরোধ।
এক দশক আগে এই দৃশ্য দেখেছিল নন্দীগ্রাম। সেই একই ছবি ফিরল নন্দীগ্রামের জেলাতেই। এ বার ময়নার বাকচায়।
পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকায় পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক পুলিশ আধিকারিক ও সিভিক ভলান্টিয়ার। তৃণমূলের এক গোষ্ঠীকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় স্থানীয় বিজেপি নেতা বিজয় ভৌমিক এবং কয়েক জন তৃণমূল কর্মীর। তাঁদের গ্রেফতার করতেই বাকচার গোড়ামহল গ্রামে সোমবার রাতে অভিযান চালায় ময়না থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ বিজয়ের বাড়িতে ঢোকার আগে বিজেপি এবং একাংশ তৃণমূল সমর্থক বাধা দেয়। তখনই আশপাশের সব বাড়ির মহিলারা শাঁখ বাজাতে শুরু করেন। ময়না থানার এক পুলিশ আধিকারিক মানছেন, ‘‘রাতে অভিযানে গিয়ে আমাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। মহিলারা শাঁখ বাজিয়ে লোক জড়ো করেন।’’ পরে পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ, বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ শূন্যে গুলি চালায় বলে পাল্টা দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ গুলি চালানোর কথা মানেনি। ঘটনায় পাশাপাশি গোড়ামহল, বাকচা ও খিদিরপুর গ্রামেও উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় র্যাফ-সহ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই বিজেপি সমর্থক গোড়ামহলের গোপাল রাউত এবং বাকচার আশিস ভৌমিককে।